হিলারি ক্লিনটন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে লড়েছিলেন। তবে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট না হলেও এবার কামালা হ্যারিস উঁচু, শক্ত বাধার প্রাচীর ভেঙে ফেলবেন বলে তিনি আশা করেন।
শিকাগো ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের মঞ্চে দেওয়া এক বক্তৃতায় হিলারি বলেন, এখন সময় এসেছে কামালা হ্যারিসের দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে বাধার দেয়াল ভাঙার।
চারদিন ব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী রাতে অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন অ্যামেরিকার ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
২০১৬ সালে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, চারদিন ব্যাপী এই সম্মেলনে উদ্বোধনী রাতে অতিথি হিসাবে ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে মনোনয়ন জিতে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে একটি বাধার দেয়াল ভেঙেছিলেন তিনি নিজে।
হিলারি ৮ বছর আগের সম্মেলনের ভাষণের প্রতিধ্বনি করে বলেন, “আমাদের নারীদের জন্য যখন কোনও একটি বাধার দেয়াল ভাঙে, তখন আমাদের সবার জন্য সে পথটি পরিষ্কার হয়ে যায়।”
তবে ২০১৬ সালে হিলারির ওই দেয়াল ভাঙা ঐতিহাসিক ব্যাপার হলেও, সেবারের নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। আট বছর পর এবার নির্বাচনেও রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। আর এবারও তার প্রতিদ্বন্দ্বী একজন নারী, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কামালা হ্যারিস।
তাই শিকাগোয় সমবেত দর্শকশ্রোতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে হিলারি বলেন, এখন মশাল হাত বদল করার সময় এসেছে। আমরা এতদিনে একসঙ্গে সবচেয়ে উুঁচু, শক্ত কাচের দেয়ালে অনেক ফাটল ধরিয়েছি। আর এখন যেন সেই কাঁচের দেয়ালে কামালা হ্যারিস হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছেন, আর অ্যামেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন।
previous post