ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আকস্মিক প্রয়াণ অনেকেই আন্দাজ করতে পারেননি। বিশেষ করে অচেনা ছিলেন তার দলের অনেক নেতাকর্মী। ফলে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বিপাকে পড়েন নেতাকর্মীরা।
এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আত্মগোপনে থাকা এসব নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মীর ও সাবেক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সদস্যদের পাঠানো কিছু বার্তা পেয়েছে ।
সংবাদমাধ্যমটি গত এক সপ্তাহে এসব ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দেখা করেছে অপ্রকাশিত বিভিন্ন স্থানে।
নেতাকর্মীরা বলেন, ‘আপা (হাসিনা) আমাদের ছেড়ে গেছেন। দেশত্যাগ করে তিনি দল ও জনগণকে পরিত্যাগ করেছেন।’
আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারব না’; ‘আমি আত্মগোপনে আছি, ফোনে কথা বলতে পারি’; ‘নিরাপদ কোনো স্থানে আমি আপনার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব’; ‘আপনার গতিবিধি নজরদারি করা হবে, তাই আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারব কি না, জানি না’।
আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমরা একটা সময়ই শুধু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাই। সেটি সেনাপ্রধান যখন বেলা তিনটার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ও মানুষ তা শুনতে টেলিভিশনের পর্দায় নজর রাখছিলেন।’
আরেক নেতা ও মন্ত্রী (সাবেক সরকারের) বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ধরা পড়লে লোকজন আমাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারতেন
আত্মগোপনে থাকা এক নেতা বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের কথা শোনেননি। মূলত শেখ হাসিনাকে চারজন ডুবিয়েছেন। যে গোষ্ঠীটি শেখ হাসিনাকে বাস্তব অবস্থা বুঝতে দেয়নি।
এই চার নেতা হলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, ‘চারজনের এই দল তার (হাসিনা) পতনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ব্যক্তিদের ওপর তার ছিল অন্ধবিশ্বাস। তার যে সহজাত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল, তা তিনি তাদের কারণে হারিয়েছেন।’
previous post