আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হবে না; দোষী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যা মামলার আসামিরা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে প্রসিকিউশন টিমের কোনো আপত্তি থাকবে না। প্রসিকিউশন দল ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা যা করা দরকার তাই করবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রসিকিউশন টিম কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে, তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল পরিচালকদের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। আজকেও কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে। তদন্তের স্বার্থে গণমাধ্যমের কাছে থাকা ভিডিও-ছবির জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করার জন্যই এই উদ্যোগ। যাতে করে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকে। ক্ষতিগ্রস্তরা এই গণহত্যার বিচারের জন্য মুখিয়ে আছেন। সাক্ষীরাও আগ্রহী। আলামত তাজা থাকতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
যাতে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকে। এই গণহত্যার বিচারের অপেক্ষায় ভুক্তভোগীরা। সাক্ষীরাও আগ্রহী। সাক্ষ্য-প্রমাণ এখনও আলামত তাজা থাকা অবস্থায় বিচার শুরু করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারে অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। ছাত্র-জনতার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মমতার বিচার হওয়াই লক্ষ্য।

previous post