বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের কথিত পতনের পর সংসদ ভেঙে দেওয়া, নতুন সরকারের শপথের পর যা যা বক্তব্য তার কোনো কিছুই সংবিধান অনুযায়ী না হলেও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় সংবিধান মেরে চলার অঙ্গীকার করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এনওয়াই বাংলা স্পেশাল
‘শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি’, জয়ের বক্তব্যে নাটকীয় মোড়’
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলা হয়েছে, তবে তার পদত্যাগ পত্রের ছবি আজ অবধি প্রকাশ করা হয়নি, অথচ ইন্টারনেটের এই যুগে এটি খুবই স্বাভাবিক বিষয় ছিল যে, পদত্যাগ পত্রটি ভাইরাল হয়ে যাবে।
এর মধ্যে বোমা ফাটিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তার মা পদত্যাগ করেননি।
তিনি বলেছেন, ‘আমার মা (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অফিশিয়ালি পদত্যাগ করেননি। তাকে সে সময়টুকু দেওয়া হয়নি।
‘তিনি (শেখ হাসিনা) দেশবাসীর উদ্দেশে একটি বিবৃতি দিয়ে তারপর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ সময়ে আন্দোলকারীরা গণভবনের উদ্দেশে রওনা দেয়। আমার মা ব্যাগ গোছানোর সময়টুকু পর্যন্ত পাননি। আমি যদ্দূর জানি, সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’
শুধু তাই না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন জয়। বলেছেন, অতীত অতীতই। সেটা ভুলে গিয়েই আগাতে চান তিনি।
জয়ের এই কথা ধরে নিয়ে বলা যায়, কথিত সরকার শূন্যতা, সরকার সংসদ ভেঙে দেওয়া সব কিছুই হয়েছে গায়ের জোরে।
জয় বলেছেন, নতুন সরকারের শপথ, সংসদ ভেঙে দেওয়ার সব কিছুই আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে।
সেই বিতর্ক বাদ দিলেও, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পর সংবিধান অনুযায়ী যে ধাপগুলো মেনে চলার কথা, সেগুলো না মেনেই এখন পর্যন্ত সব কিছু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেই দেশ ছেড়েছেন এটা ধরে নিলেও ৫৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরবর্তী সরকার প্রধান নির্বাচন না হওয়াটা সংবিধানের লঙ্ঘন।
এই অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারালে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন বা সংসদ ভেঙে দিতে লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবেন। তখন রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থা ভাজন নন, তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দেবেন।
শেখ হাসিনা দেশে না থাকায় রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তাহলে সংসদ তখনই ভেঙে দেওয়া যেত, যদি সংবিধান অনুযায়ী সংসদ যদি আরেকজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার মত অবস্থায় না থাকত। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভাঙতে বাধ্য করা হয়েছে।
যাই হোক, সংসদ ভেঙে দিলেও পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী সরকার প্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকার কথা। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব ছিল না। ফলে নতুন একজন সরকার প্রধান নির্বাচন করতেই হত। সেটি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির অন্তর্নিহিত ক্ষমতা ব্যবহার করে।
সেই সরকার হলো, শপথ নিয়ে ইউনূস বলছেন, তিনি সংবিধান মেনে চলবেন, এর বাইরে কিছুই করবেন না।
সেই সংবিধান মেনে চলতে হলে এই সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। যদি দৈব দুর্বিপাকে নির্বাচন করা সম্ভব না হয়, তাহলে আরও ৯০ দিন সময় নিতে পারবে।
কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকার যে ৯০ দিন বা ১৮০ দিনের কথা ভাবছে না, তা বুঝতে হলে বিশেষ কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। সরকারের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বলেছেন তারা আগে সংস্কার করবেন। আরেক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তাদের অনেকগুলো কাজ করতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ তারা সংবিধানের ধারও ধারছেন না, শপথ নিয়েছেন কেবল লোক দেখাতে।
বিএনপির মুখের হাসি এরই মধ্যে মুছে যাচ্ছে। সরকার পতনের দিন বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে চওড়া হাসি দিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে গিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। দুই দিন পর নয়া পল্টনে সমাবেশে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়াল বক্তব্যে একই দাবি তুলেছেন। কিন্তু সে আশা যে পূরণ হচ্ছে না, তা দলটির নেতাকর্মী সমর্থকরা বুঝে গিয়ে আশাহত হচ্ছেন।
জয়ও বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে।
রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই মুহূর্তেও নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। যদি তাও না হয়, তাহলে প্রধান বিরোধী দল হবে, এটা হলেও আমরা খুশি।”
খালেদা জিয়া বিএনপির জনসভায় ভার্চুয়াল বক্তব্য দিয়ে বিগত দিনের কথা ভুলে যাওয়ার যে কথা বলেছেন, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন জয়। তিনি বলেছেন, “আসুন অতীত ভুলে যাই। আমরা যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করি। ঐক্য সরকার হোক বা না হোক আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
শেখ হাসিনার পুত্র আরও বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই যে সামনে এগিয়ে যাওয়া, আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র আছে যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে”।
তিনি আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কিনা এমন প্রশ্নে জয় বলেন, “আমার মা যেভাবেই হোক এই মেয়াদের পর অবসর নিতে যাচ্ছেন। দল যদি আমাকে চায়, আমি অবশ্যই বিবেচনা করব।”
জয়ের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশে কী নাটকীয়তা হয়, তা একটি ভোরের অপেক্ষা মাত্র। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বেশুমার হামলার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর জেলা গোপালগঞ্জ তো বটেই, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গাজীপুরে, মিছিল হয়েছে সাভারে, ঢাকায় হিন্দুদের প্রতিবাদ সমাবেশেও দলের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সৌন্দর্য আর রাজনীতির শক্তি যে ক্ষমতায় না থাকলে বেশি থাকে, সেই বিষয়টি এরই মধ্যে ধরা পড়েছে।
যদি তিনি পদত্যাগ না করেন, তাহলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সরকার প্রধান দুই জন, যেটি হওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে ইউনূস আসলে কিছুই না।
অবশ্য এখন আর আইন, কানুন, বিধি বিধানের তোয়াক্কা নেই। সরকার পতনের পর সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান যেসব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তাদের মধ্যে সবার আগে তিনি নাম বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের কথা।
অথচ এর ঠিক চারদিন আগেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়। আইন অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আগে সেনাপ্রধান হয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন। শুধু তাই না, এই নিষিদ্ধ সংগঠনকে নিয়ে তিনি বঙ্গভবনে গেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কোনো আইনি কর্তৃত্ববলে বৈঠক করেছেন, সেই প্রশ্ন তোলার সাহস বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমে নেই। অথচ তারা কথিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে যাচ্ছে।
এতদিন বিটিভিকে সরকারের প্রচারযন্ত্র হিসেবে ‘বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলন’ বলে কটাক্ষ করে আসা সংবাদকরমীরা নিজেরাই ‘বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলন’ প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন।
দৈনিক প্রথম আলো প্রকাশ করেছে চাঁদাবাজি না থাকায় বাজারে নাকি পণ্যমূল্যে ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। ফেসবুকে একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে পণ্যমূল্য দেখানো হয়েছে প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম। সেই তালিকা আবার বুস্ট করা হচ্ছে নানা পেজ থেকে।
কিন্তু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বাজারে গিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে এই শিরোনামে যে, ফেইসবুকে নিত্যপণ্যের দাম কমার খবরে বাজারে গিয়ে ‘ধোঁকা’।
আবার উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী এখনও তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ। আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে তার বক্তব্য প্রচার না কেবল, লাইভ করা হয়েছে।
আবার সেনাপ্রধানের সঙ্গে দুই বৈঠকেই ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক। তিনি কওমি ঘরানার উগ্রবাদী নেতা হতে পারেন, তার বিশাল ভক্তকুল থাকতে পারে, তাই বলে রাজনীতিতে তার দল খেলাফত মজলিস তো চুনোপুঁটিও না। বরং জঙ্গিবাদের সঙ্গে এই দলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নতুন নয়।
সন্ত্রাসী সংগঠন আর জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সংগঠনের সায় নিয়ে ড. ইউনূস তার কথিত সংস্কারে কী কী হতে পারে, তার নমুনা অবশ্য এরই মধ্যে দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশের যে দেয়ালগুলোতে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষায় বাংলা ভাষায় যেসব লেখনী ছিল, সেগুলো মুছে আরবি ক্যালিওগ্রাফি রচনা করা হয়েছে। ছেলেরা বাধা দেওয়ায় কেউ কেউ অবশ্য গোস্সা করেছেন, যাদের মধ্যে কথিত বামপন্থিও আছে।
বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি গায়ে জ্বালা ধরবে তাদের, সেটা ঠিক আছে। এক দিনেই জাতির পিতার প্রায় সব ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ম্যুরালগুলো ভেঙে ফেলা বা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে হাস্যকর যে কাজ হয়েছে, সেটি হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের নাম ফলক তুলে সেখানে ব্যানার টানানো হয়েছে ‘জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এক্সপ্রেসওয়ে।
কথিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে যেটা ঘটছে, সেটা হল লুটপাট। এই মুহূর্তে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যা খুশি লুটে নিচ্ছেন, যা খুশি দখল করছেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল দখল হয়ে গেছে, আরও কয়েকটি দখল হওয়ার পথে।
গ্রামে গঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শহরে এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসা, বাজারের ইজারা, বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ সব এক দিনেই নিয়ে নিয়েছেন বিএনপির সঙ্গে জড়িতরা। দারুণ এক সুযোগ হেলায় হারাতে চাইছেন না তারা।
মফস্বল আর উপজেলা ও গ্রাম এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা সমর্থকদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট তো এখন গনিমতের মালের মত হয়ে গেছে। ট্রাকে, পিকআপে, ভ্যানে, মাথায় করে, রিকশায় করে লুট করা হচ্ছে, এরপর আগুন দেওয়া হচ্ছে, সেসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়াচ্ছে, কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে না।
কথিত কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কত ধোঁকা খেয়ে, তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এখন বুঝতে পারছেন।
তিনি উত্তরায় থাকেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিজয় আনন্দ করতে বের হয়েছিলেন। সে সময় মিছিলকারীরা তাকে পিটিয়েছে।
তার স্ত্রী আয়েশা হোসেন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট বিকেলে ছেলে ও ছেলের বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিতে সপরিবার শাহবাগে যাওয়ার জন্য উত্তরা থেকে রওনা হন আনোয়ার হোসেন। বিমানবন্দরের ঠিক সামনে পৌঁছালে ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সী এক ব্যক্তি তাকে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি সেই অধ্যাপক, যিনি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) জামায়াতের বিরুদ্ধে ছিলেন। আপনাকে টেলিভিশনে দেখেছি।’ ওই ব্যক্তি আনোয়ার হোসেনকে বিমানবন্দরের উল্টো দিকের একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আরও বেশ কয়েকজন উত্তেজিত লোক চারপাশে জড়ো হয়ে ‘নারায়ে তাকবির’ বলতে থাকেন। আনোয়ার হোসেন জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং তাঁর গলা কেটে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন।
আরো খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন এবং ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।