আনিস আলমগীর, সাংবাদিক
কয়েকশ লোকের রক্তের উপর দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি নতুন সরকার। সেই সরকারের জন্য রেখে যাওয়া হয়েছে বিধ্বস্ত লুট পাটের অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা তার টোটালি কলাপ্স করেছে।
অথচ এক সপ্তাহ পার হয়নি, এমন পরিস্থিতিতে, ১৫ই আগস্টের শোক প্রকাশের চাতুরির মাধ্যমে সারা দেশ থেকে কর্মী সমর্থকদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর আসতে বলা হয়েছিল কুস্তি লড়ার জন্য।
আপনি কি ভেবেছেন- যারা এই আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা জানতেন না এটি হবে! এই মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য কি শোক প্রকাশ ছিল? নাকি দেশে-বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এই দিনে শোক প্রকাশের নামে ঢাকায় আরেকটি হাঙ্গামার মধ্যে কয়েক শত লাশ পড়া দেখতে চেয়েছিল, জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার বুঝাতে?
দিগম্বর, ধোলাই, কানে ধরে উঠানো বসানো- এই প্রথম? আওয়ামী লীগ করেনি? এমন দু’চারটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা আবার কোন বর্বর জংলি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো- এই মাতম না তুলে গতকাল ১৫ই আগস্ট যে আরো কিছু মায়ের বুক খালি হয়নি তার জন্য শুকরিয়া আদায় করেন।
জাস্ট স্মরণ করেন, শেখ হাসিনার সরকার পতন কাল ৪-৬ আগস্টে ছাত্র জনতা বেশি মারা গিয়েছিল না আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ? এবারও তাই হতো আওয়ামীলীগই মারা যেত বেশি।
গত ১৬ বছর এসব প্রদর্শনী মূলক শোক প্রকাশ, যেখানে সেখানে লোক দেখানো বঙ্গবন্ধু প্রেমের ফলাফল তো আমরা দেখলাম। একটু সময় নিন। শোক প্রকাশের দিন শেষ হয়ে যায় নি।
আমার কথায় বিরক্ত না হয়ে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করেন, শোক প্রকাশ যার যার এলাকায় করা যেতো না? বিগত বছরগুলোর মতো টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়া যেতো না? সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ লোককে ঢাকার ৩২ নম্বরের মতো আবাসিক এলাকায় আসতে বলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার কি দরকার ছিল, ঢাকায় কি বঙ্গবন্ধুর নেতাকর্মী ভক্তের অভাব পড়েছিল শোক জানানোর?