ভারত ভিত্তিক চারটি সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা ও মামলা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকদের মুক্তিরও দাবি জানান তারা।
ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়ার (এফসিসি) এস ভেংকট নারায়ণের স্বাক্ষরে যৌথ চিঠির অন্য তিনটি সংগঠন হলো— প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়া (পিসিআই), ইন্ডিয়ান উইমেনস প্রেস কর্পস (আইডব্লিউপিসি) এবং প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (পিএ)।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৫২ জন জ্যেষ্ঠ সংবাদকর্মীকে হত্যার মামলায় জড়ানো হয়েছে, যাদের কয়েকজনকে ইতোমধ্যে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অযাচিত অভিযোগ করা হয়েছে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি আপনিও আমাদের সঙ্গে একমত হবেন, একটি মুক্ত সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের গর্ব হওয়া উচিত। ভিন্নমত এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে দমন করা শুধু আপনার প্রশাসনের নয়, একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে।’
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার শত্রু এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।
চিঠিতে যারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার শত্রু ও সাংবাদিকদের হয়রানি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে অনুরোধ করা হয়, বিশ্বব্যাপী সম্মানিত নোবেল শান্তি বিজয়ী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা ভয় ও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।’
একইসঙ্গে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।