New York Bangla Life
বাংলাদেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সাইদ নামে এক দোকানদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে বাদী এসএম আমির হামজার জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। পরে মামলার আদেশ দেবেন বলেও জানান তিনি।

এ মামলায় বাদী আরজিতে উল্লেখ করেন, মামলার এক নম্বর আসামি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আন্দোলনের সময় তিনি কঠোর হাতে তা দমনের নির্দেশ দেন। দুই নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দিয়েছেন।



তিন নম্বর আসামি সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন, চতুর্থ আসামি সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, ষষ্ঠ আসামি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং সপ্তম আসামি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীন পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর নির্দেশে অন্য অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরজিতে আরও বলা হয়, আসামিরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হত্যা করে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এসব হত্যার বিচার করতে হবে। আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হলে অজ্ঞাত ও তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের নাম উঠে আসবে।

আরজিতে বলা হয়, মামলার এক নম্বর আসামি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আন্দোলনের সময় তিনি কঠোর হাতে তা দমনের নির্দেশ দেন। দ্বিতীয় আসামি ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী আদাবর এলাকার ব্যবসায়ী এসএম আমির হামজা শাতিল। একজন নিরপরাধ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি এই মামলা করেন।

আরজিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওসব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে অসংখ্য ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বছিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানি আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’

ভুক্তভোগী আবু সায়েদ একজন নিরীহ মানুষ। তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সে সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আবু সায়েদের পরিবার অত্যন্ত গরিব। তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। এ কারণে সচেতন নাগরিক হিসেবে আবু সায়েদ হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।

আরজিতে আরও বলা হয়, ‘নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায় নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এজন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ মামলা করছি।’

বাদী উল্লেখ করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমনের নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অধীনে থাকা পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালান। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

Related posts

বদলে গেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যাত্রী সেবা

Ny Bangla

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এলডিপির

Ny Bangla

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মমতার বক্তব্যকে হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল

Ny Bangla

বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না

Ny Bangla

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

Ny Bangla

লাল পাসপোর্ট বাতিল হলেও যে ভাবে ভারতে আছেন শেখ হাসিনা

saeimkhan

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy