সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দীপু মনিকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান।
আত্মগোপনের তালিকায় রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরা। এছাড়া তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের একজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের খবর আসে প্রথম ১৩ আগস্ট। ওইদিন ঢাকা মহানগর পুলিশ সদরঘাট থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে এক হকার নিহত হন এবং নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন।
এরপর ১৪ আগস্ট সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তারের খবর জানায় ডিএমপি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর ১৪ আগস্ট সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে পল্টন থানায় মামলায় গ্রেপ্তারের খবর দেয় ডিএমপি। পুলিশ জানায়, খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এই তিনজনকে আটক করা হয়।
গত ১৬ আগস্ট রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি থেকে সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকেও একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এ ছাড়া সম্প্রতি সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে ১৬ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। জিয়াউল আহসান সর্বশেষ জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং বডি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন। নিউমার্কেট থানার ফেরিওয়ালা হত্যা মামলায়ও তাকে গ্রেফতার করা হয়।

previous post