গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে বিক্ষোভে সেনাবাহিনী গুলি করলে গাড়ি পুড়িয়ে দেয় জনতা
গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভে করছিলো সর্বস্তরের জনগণ। এসময় সেনাবাহিনী গুলি করলে এক শিশুসহ দুইজন আহত হলে ধাওয়া দেয় জনগণ। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেয় জনতা, আহত হয় সেনাসদস্যসহ ১৭ জন।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
সেনাবাহিনী এসে মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা সেনাবাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট কর্নেল মাকসুদুর রহমান বলেন, “৩-৪ হাজার জনতা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা উত্তেজিত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে তারা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
প্রত্যক্ষদর্শী গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফ বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেন। এতে শিশুসহ দুজন বিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মারা যাননি। সন্ধ্যার দিকে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।”
গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, উত্তেজিত জনতা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে।
বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা টহল দল চার রাউন্ড অ্যামোনিশন ফায়ার করে।
পরিস্থিতির তীব্রতা পরিলক্ষিত হওয়ায় ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
previous post