দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, ১৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪টি সরকারি কলেজ, এবং ১০টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এতে শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, ২৭টি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে নির্যাতন এবং অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এই নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছেন। তাদের আশঙ্কা, ছাত্ররাজনীতি চালু থাকলে আগের মতো ক্যাম্পাসে অস্থিরতা এবং সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।
বিগত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ, এবং ৪টি সরকারি কলেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্দিষ্টভাবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো হলো: সেগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ডুয়েট ও জাককানইবি ছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে: ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ হয়েছে।
যেসব সরকারি কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে: এগুলো হলো— ইডেন মহিলা কলেজ, রাজশাহী কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও বগুড়ার সান্তাহার সরকারি কলেজ। সান্তাহার কলেজে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ হয়েছে।
এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার পরিবেশ সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্য থাকে। তবে, এটি ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ
বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে, বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দাবিটি বিশেষভাবে জোরালো ছিল এবং বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সভায় ছাত্র, শিক্ষক, এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার দাবি মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে। এই আন্দোলনের সমন্বয়করা, বিশেষ করে আবদুল কাদের, ৯ দফা দাবির মধ্যে একটি হিসেবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেন এবং ছাত্র সংসদ কার্যকর করার আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এ বিষয়ে বলেছেন, তারা ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চান না এবং তাদের চাওয়া ছাত্র সংসদভিত্তিক গঠনমূলক রাজনীতি। তাদের মতে, এই ধরনের রাজনীতি শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য কাজ করবে এবং একটি স্বাস্থ্যকর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
অন্যদিকে, বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাগীব নাঈম মনে করেন, শিক্ষার্থীদের রাজনীতিসচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি অপরিহার্য। তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতির নামে যে দখলদারি ও সন্ত্রাস চলছে, তার বিরুদ্ধে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি আসলে শিক্ষাঙ্গনে বিরাজনৈতিকীকরণের চেষ্টা।
এমন পরিস্থিতিতে, একদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রয়াস চলছে, অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও অধিকার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
প্রস্তাব ও জরিপ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে আট দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন “ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ” (ইউআরআই) নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্রস্তাবগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংস্কারমুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের একজন ছাত্রী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তাঁর মাধ্যমে ইউআরআই-এর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অধিকতর সমান ও ন্যায়সংগত পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়।
ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইউআরআই) এর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে যে আট দফা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রস্তাবগুলো হলো:
আবাসিক ও একাডেমিক স্থানে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবনগুলোতে দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি (যেমন সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সম্মেলন, শোভাযাত্রা, শোডাউন প্রভৃতি) নিষিদ্ধ করতে হবে।
রাজনৈতিক পরিচয় বা সংশ্লিষ্টতা ব্যবহার নিষিদ্ধ: কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দলীয় রাজনৈতিক পরিচয় বা সংশ্লিষ্টতা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বা একাডেমিক স্থানে প্রভাব বিস্তার, সুযোগ-সুবিধা আদায়, বা বিশেষ বিবেচনা লাভের প্রচেষ্টা চালাতে পারবে না।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ: যদি কোনো শিক্ষার্থী এসব নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে আইন পাস করতে হবে।
ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শের স্বাধীনতা: নির্ধারিত স্থানগুলোতে দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের প্রচেষ্টা ব্যতীত, কোনো শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত পরিসরে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করলে বা নিজস্ব মত প্রকাশ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে না।
এই প্রস্তাবগুলোর উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা।
গত মঙ্গলবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ (ডিইউআরএস) ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতি ও রাজনৈতিক কার্যক্রম বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিমত’ শীর্ষক একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এই জরিপটি ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত পরিচালিত হয়। জরিপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮টি বিভাগ এবং ১০টি ইনস্টিটিউটের মোট ২,২৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এই শিক্ষার্থীরা ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ (ডিইউআরএস) পরিচালিত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৩.৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী দলীয় ছাত্ররাজনীতি ‘একেবারেই নিষিদ্ধ’ করার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সংস্কারকৃত রূপে দলীয় ছাত্ররাজনীতি বজায় রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে জরিপে মাত্র শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বর্তমান অবস্থাতেই দলীয় ছাত্ররাজনীতি চলমান রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এছাড়াও, জরিপে ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্ররাজনীতির কোনো গুরুত্ব নেই বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। এই ফলাফলগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বর্তমান ছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত একটি শিক্ষার পরিবেশ চান।
ডিইউআরএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ) জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে চারটি সুপারিশ তুলে ধরেছে। এই সুপারিশগুলো হলো:
দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা: বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের অভিমতকে প্রতিফলিত করে।
ডাকসুকে পুনরুজ্জীবিত ও সংস্কার করা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি এটি সংস্কার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়ন কমিটি গঠন: শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং গবেষণার প্রসার নিশ্চিত করতে একটি উন্নয়ন কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা ও গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা: শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাদের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
এই সুপারিশগুলো শিক্ষার্থীদের মতামতকে ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাস্তবায়নের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
