হারিকেন হেলিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ জনে। কেবল নর্থ ক্যারোলাইনায় একটি কাউন্টিতে ৩০ জন মারা গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা অ্যামেরিকার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় স্টেইটগুলোর সঙ্কটাপন্ন লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
হেলিনের আঘাতে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা এবং টেনেসির শহর ও নগরগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বাতাস এবং মৌসুমী বৃষ্টির ফলে এসব এলাকায় বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়েছে এবং অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডিন ক্রিসওয়েল বলেছেন, ‘আমরা পানির ব্যবস্থা, যোগাযোগ, রাস্তা, গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন রুটের পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়িঘরের উল্লেখযোগ্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েছে।’
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে যে ঝড় হেলিনের প্রভাবে চরম আবহাওয়ার কারণে কমপক্ষে ৯৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, নর্থ ক্যারোলাইনায় ৩৭ জন, সাউথ ক্যারোলাইনায় ২৫ জন, জর্জিয়ায় ১৭ জন, ফ্লোরিডায় ১১ জন, টেনেসিতে ২ জন এবং ভার্জিনিয়ায় ১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
নর্থ ক্যারোলাইনার বুনকম্বে কাউন্টির শেরিফ কুয়েন্টিন মিলার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, তীব্র ঝড়ের কারণে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, এখন পর্যন্ত ৩০টি অবকাঠামোর ক্ষতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যার মধ্যে পর্যটন নগরী অ্যাশেভিল অন্যতম।
এই এলাকায় ঝড়ের আঘাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, বাড়িঘর এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
