লেবাননের বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে সশস্ত্র বাহিনী হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় ইরান। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে একত্র হয়ে ইসরায়েলের মোকাবিলা করার আহ্বান জানান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
ইরানের সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ইরানের অতি-কট্টরপন্থীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলকে শিক্ষা দিতে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া এবং পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত করার তাগিদ দিয়েছেন ইরানের অতি-কট্টরপন্থীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়াজ তুলছেন তারা। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলকে জবাব দিতে হবে অ্যাটম বোমা দিয়ে।
ইরানের অতি-কট্টরপন্থীরা, যারা সাবেক পারমাণবিক সমঝোতাকারী সাঈদ জলিলির অনুসারী বলে জানা যায়, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও তাঁর সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করছেন। তাদের দাবি, ইসরায়েলের একের পর এক আক্রমণের মুখে ইরান সরকারের প্রতিক্রিয়া অনেকটাই দুর্বল। এসব অতি-কট্টরপন্থীরা বলছেন, ইসরায়েলের মুখোমুখি হতে চাইছে না এই ইরান সরকার।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, বিশেষত সামরিক ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষমতা রাখেন। যদিও অতি-কট্টরপন্থীরা ইসরায়েলের একের পর এক হামলার জবাবে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ও তাঁর সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করছেন, খামেনির সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করছেন না।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে, ইরানের বর্তমান সরকারের ব্যাপারে কট্টর সমালোচনার নমুনা দেখা যায়।
ইরানের অতি-কট্টরপন্থীদের একজন বলেন, ‘এই অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঠেকাতে ইরানের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত এই কৌশলগত পথ বন্ধ করা।’
এর আগেও বেশ কয়েকবার হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় ইরান সরকার। কিন্তু এটি করলে অ্যামেরিকা ও তাদের নৌবাহিনীর মধ্যে সংঘাত লেগে যেতে পারে এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধ বড় আকার ধারন করতে পারে।
previous post