সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিগত সরকারের সময়ে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে কোনো চাপ ছিল কি না এবং র্যাব তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে কি না।
তবে তিনি এসব বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করতে এড়িয়ে গেছেন। এর ফলে, তদন্ত প্রক্রিয়া এবং এর ধীরগতির কারণ সম্পর্কে আরও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
গত ৩০ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত থেকে র্যাবকে অপসারণ করে মামলাটি তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এ আদেশের পর বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, তদন্তটি আরও বেগবান করার জন্য হাইকোর্ট মনে করেছেন আরও অভিজ্ঞ লোক দরকার। যারা এ ধরনের কাজে পারদর্শী তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে। এতে যদি র্যাবের কোনো সহায়তা লাগে আমরা যেকোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।
সাগর-রুনির মামলা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিগত সরকারের কোনো চাপ ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, তদন্তের জন্য আরও অভিজ্ঞদের দিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কর্মবিরতিতে গেলেও কোনো র্যাব সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি এবং কোনো র্যাব সদস্য পালিয়ে যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকেও বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
