হাইকোর্টের এক বিচারপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণের কর সংক্রান্ত একটি মামলার রায় লেখার সময় বিব্রতবোধ করেছেন। এই মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৬৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে বলে প্রাথমিকভাবে একটি রায় দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু রায় লেখার প্রক্রিয়ায় বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন এবং আগের দেয়া রায়টি আদালত প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তীতে এই মামলা পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে নথি পাঠানো হয়, যা মামলাটির নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর ইঙ্গিত দেয়।
বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
গত ৪ আগস্ট বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে ৬৬৬ কোটি টাকা পরিশোধের যে রায় দেয়া হয়েছিল, তা লেখার সময় এক কনিষ্ঠ বিচারপতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবিষ্কার করেন। তিনি দেখতে পান যে, মামলাটিতে একসময় তিনি রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানি করেছিলেন। এই কারণে তিনি নিজে থেকে এই রায় দেয়ার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হন।
ফলে, এ রায় তিনি দিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এবং আগের দেয়া রায় প্রত্যাহার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি এখন মামলাটি শুনানির জন্য নতুন একটি বেঞ্চ গঠন করবেন, যা মামলাটির পুনঃবিচারের প্রক্রিয়া শুরু করবে।
এর আগে ৪ আগস্ট ড. ইউনূসের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাওনা ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবির বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসকে ওই পরিমাণ টাকা সরকারকে পরিশোধ করার কথা ছিল।