বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকের বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, বর্তমান সরকারের ভেতরে এখনও এমন কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন যারা বিগত সরকারের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৭ বছরের অর্জিত স্বাধীনতা সত্ত্বেও এখনও সংবাদমাধ্যমে (পত্রিকা ও ইউটিউব) এমন কিছু তথ্য দেখা যাচ্ছে যা সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলছে।
বিতর্কিত আমলাদের অপসারণের দাবিতে প্রেসক্লাবে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, ‘একজন সাংবাদিক সুন্দর কথা বলেছিলেন যে, ফিয়ার ইজ সিকনেস; শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে সবসময় ভয় করতেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কথা যখন টিভিতে আসত, তখন শেখ হাসিনার চামচারা শেখ হাসিনাকে বলত যে শহীদ জিয়ার আদর্শকে চিরতরে বিলীন করে দিতে হবে। তারেক রহমানকে কখনো বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনার এই ভয়ের অসুখ সবসময় ছিল।’
‘যে শহীদ জিয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন, দুই সপ্তাহ পরে সেই জিয়াকে নির্মমভাবে খুন হতে হলো। নিশ্চয়ই শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র ছিল। নেত্রী খালেদাকেও শেখ হাসিনা কারাবন্দি রেখেছিলেন। কার সাড়ায় বেগম জিয়ার সাজা বাড়িয়ে দিয়েছেন সেটাও আমরা জানি।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শহীদ জিয়া ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার কেউ ছিল না। যদি আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষে থাকত তবে কেন শেখ মুজিব দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন না! আর তাজউদ্দীন সাহেব বললেন, আমি কি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা খাব?’
জয়নুল আবদিন বলেন, ‘সেই শেখ মুজিবের কন্যা কার ইন্ধনে ২০ বছর ধরে মায়ের বুক খালি করেছেন? হাসিনা তোমার বিচার বাংলাদেশে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এ ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। আর সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। সেটা করলে যারা সচিবালয়ে বসে আছেন তারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস নিউইয়র্কের মাটিতে ছাত্রদের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেছেন, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই; শুধু একটাই প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ যেন পুনরায় দেশের ক্ষমতা নিতে না পারে। যদি ষড়যন্ত্র রুখতে না পারেন ক্ষতি হবে সরকারের; আপনারা তো বিপ্লবী সরকার। আমরা তো আপনাদের কাছে টাকা পয়সা চাই না।’
next post