নিউ ইয়র্কের সিবিএস ব্রডকাস্ট সেন্টারের সামনে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দলের সমর্থকদের উত্তেজনা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের সময়, সমর্থকরা নিজেদের দলের প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সমর্থন প্রকাশ করেন এবং হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হন।
ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের সময় ডেমোক্র্যাটিক সমর্থকরা আশাবাদী কণ্ঠে তাদের প্রার্থীদের সমর্থন করেন, বিশেষ করে আগামী নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে। তারা বিশ্বাস করেন যে বাইডেন-কামালা প্রশাসন তাদের নীতি এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান সমর্থকরা ট্রাম্প-ভ্যান্স টিকিটকে সমর্থন জানিয়ে বলেন যে, বাইডেন-কামালা প্রশাসনের অধীনে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং এর থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করতে ট্রাম্প এবং ভ্যান্সই একমাত্র বিকল্প।
সিবিএস ব্রডকাস্ট সেন্টারের সামনে সহস্রাধিক ডেমোক্র্যাট সমর্থক একত্রিত হয়ে বিশাল একটি মিছিল তৈরি করেন। সন্ধ্যার পর এই মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সমর্থকরা কোচ ওয়ালজের সমর্থনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে উপস্থিত হন। তারা উল্লাসধ্বনিতে এবং স্লোগানে ওয়ালজের কার্যক্রম ও নীতিগুলোর প্রশংসা করেন।
সিবিএস সেন্টারের সামনে ডেমোক্র্যাটিক সমর্থকরা ডিবেইটে চলাকালীন পুরো এলাকা স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন। তারা বলেছিলেন, “ট্রাম্পের নেতৃত্বে দেশকে পিছিয়ে যেতে দেওয়া হবে না!” এই স্লোগানগুলো তাদের দলের প্রতি আস্থা এবং দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
এদিকে, স্বল্প সংখ্যক রিপাবলিকান সমর্থক ব্রডকাস্ট সেন্টারের ইলেভেন্থ এভিনিউর সামনে জড়ো হন। যদিও তাদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল, তারা হাতে বর্ণিল সব পতাকা নিয়ে উপস্থিত ছিলেন, যা ট্রাম্পের সমর্থন জানাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
সমর্থকরা জানান, তারা ট্রাম্প এবং ভ্যান্সের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করতে এসেছেন।
ট্রাম্পের হাতে দেশের দায়িত্ব গেলে যুদ্ধমুক্ত পৃথিবীর পাশাপাশি অ্যামেরিকার অর্থনীতিতে সুদিন আসবে বলে মনে করেন তারা।
এ সময় ট্রাম্পের সমর্থনে বেশ কয়েকটি গাড়ি বিতর্কের ভেন্যুর সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। এ সময় কামালা ও ওয়ালজের সমর্থকরা ওই গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন, যা পুরো পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তোলে। তারা ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ এবং সমালোচনা প্রকাশ করেন।
ডিবেইটের আগে ও পরে এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়, যাতে কোনও ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়ানো যায়।

previous post