তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, গণমাধ্যম সংস্কার প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র মালিক ও সম্পাদকদের সাথে নয়, বরং মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের সাথেও ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে। এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের সামগ্রিক উন্নয়ন ও পরিবর্তনের লক্ষ্যে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে সাংবাদিকতা কেন পেশা হয়ে উঠতে পারেনি” শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বলেন, সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমের বহুমুখী স্টেকহোল্ডারদের সাথে ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রয়োজন।
গণমাধ্যম তার পূর্বের মর্যাদা হারাচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এবারের গণঅভ্যুত্থানে শাট ডাউনের সময়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো কি ধরনের ভূমিকা পালন করেছে সেটি সবার জানা, এমন ভূমিকার জবাবদিহিতার প্রয়োজন আছে বলেও বলেন তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সাংবাদিকদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ভূমিকাকে স্মরণ করে বলেন, তবে জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রতিরোধ দেখা যায়নি, যা হতাশাজনক। তিনি সমালোচনা করে বলেন, সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সাংবাদিকদের প্রকৃত স্বার্থ নিয়ে কাজ করা উচিত, যেন তারা পেশাগত ও নৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য পেশাদারিত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ জন্য সরকার চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মাধ্যমে মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকার প্রচার সংখ্যায় স্বচ্ছতা আনতে কাজ করবে, যা গণমাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা ও সঠিক তথ্যের প্রচার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

previous post