নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের সীমানা অতিক্রম করে আমেরিকা ও কানাডার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া সুনাম অর্জনকারী রেস্টুরেন্ট খলিল বিরিয়ানি অবশেষে আমেরিকার ফেডারেল ও সব স্টেটে ফ্রাঞ্চাইজ করার অনুমোদন পেল।
এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি কম্যুনিটির রেস্টুরেন্ট আমেরিকায় ফ্রাঞ্চাইজ খোলার অনুমোদন পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি খাবার আমেরিকায় আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পাবে।
এই সুখবর জানিয়ে খলিল গ্রুপের চেয়ারম্যান শেফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মিডিয়াকে জানান, অনেকে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে অন্য দেশের খাবার বিক্রি করে থাকে।
আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবারই পরিবেশন সার্ভ করছি। তাছাড়া আমার নিজস্ব রেসিপি অনুযায়ী যে খাবার প্রস্তুত করা হয়, তাতে থাকে বাছাই করা ইনগ্রিডিয়েন্টস। আর থাকে উন্নতমানের অয়েল।
সে কারণে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাসহ অন্যদেশী মানুষও খলিলের খাবার পছন্দ কর। মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের ভাষায়, ফুড যেমন কালচার তেমনই হেলথও। তিনি এই দুটি বিষয়ের সমন্বয় করে তার ব্যবসাকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের ভাষায়, ফুড যেমন কালচার তেমনই হেলথও। তিনি এই দুটি বিষয়ের সমন্বয় করে তার ব্যবসাকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
শেফ খলিলুর রহমান জানান, খলিল বিরিয়ানি ফ্রাঞ্চাইজ প্রদানের পর যে রেস্টুরেন্ট শেফ এবং কর্মী প্রয়োজন হবে তার প্রতি লক্ষ্য রেখে তিনি ঢাকায় ‘খলিল ক্যুলিনারি আর্ট সেন্টার’ নামে একটি ক্যুলিনারি স্কুল খুলছেন। ইতিমধ্যে এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে হাসান কোর্টে (২৩/১ ষষ্ঠতলা) এই স্কুল হবে। সেখানে ৬ মাস ও ৩ মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করানো হবে। এছাড়াও ১ মাস ও ৭ দিনের সার্টিফিকেট কোর্সও করানো হবে। তবে মূলত হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং ফুড ও ড্রিংক্সের ওপর স্কিল ডেভেলপমেন্ট করানো হবে।
তিনি বলেন, এই খলিল ক্যুলিনারি আর্ট সেন্টার থেকে ডিপ্লোমা করার পর তারা বিদেশেও যেতে পারবেন শেফ হিসাবে উল্লেখ্য মোহাম্মদ খলিলুর রহমান নিউইয়র্কের ক্যুলিনারি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা সার্টিফাইড শেফ।
তিনি আগে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কুক হিসাবে কাজ করলেও সার্টিফাইড শেফ হওয়ার পরে ২০১৭ সালে ব্রংক্সের পার্কচেস্টারে ক্ষুদ্র পরিসরে খলিল বিরিয়ানি নামে রেস্টুরেন্ট চালু করেন। এই রেস্টুরেন্টের খাবারের সুনাম ছড়িয়ে পড়লে তিনি ইউনিয়ন পোর্ট রোডে বড় রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন। এরপর তার সুনাম যত ছড়িয়ে পড়েছে, ততই তার ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করে চলেছেন। বর্তমানে জ্যামাইকা ও জ্যাকসন হাইটসেও তার শাখা রয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিউইয়র্কের রাজনীতিকদের অনেকেই তার রেস্টুরেন্ট খেতে গেছেন। সিনেট মেজোরিটি লিডার চাক শুমার, গভর্নর, মেয়র, কংগ্রেস সদস্য, স্টেট ও সিটির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রয়েছেন এই তালিকায়। মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সাথে তাদের ছবি দিয়ে ফটো গ্যালারি বানানো হয়েছে খলিল চাইনিজে।
