ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীবিরোধী বক্তব্যের দিয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। তিনি দাবি করেন, অ্যামেরিকায় খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত কিছু অভিবাসী “খারাপ জিন” ছড়াচ্ছে, যা অভিবাসীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে।
সম্প্রতি একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিবাসনবিরোধী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এসময় ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অভিবাসননীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, উন্মুক্ত সীমান্তের মাধ্যমে অ্যামেরিকায় ১৩ হাজার খুনি ঢুকে পড়েছে এবং তারা দেশটিতে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করছে।
হোয়াইট হাউয ডোনাল্ড ট্রাম্পের উক্তির তীব্র নিন্দা করেছে। হোয়াইট হাউযের প্রেস সচিব কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্য “অত্যন্ত ঘৃণ্য, জঘন্য এবং ভুলে ভরা”। “আমাদের দেশে এর কোনো স্থান নেই।”
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনীতি বিশ্লেষক মিখাইল ম্যাকফাউল লিখেছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য নাৎসিবাদী জার্মানিরই প্রতিধ্বনি করেছে।
আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে, যেখানে দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কামালা হ্যারিস প্রধান ভূমিকা পালন করছেন। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতিকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রচার করছেন, যেখানে তিনি অভিবাসন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি অনিবন্ধিত অভিবাসী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং তাদেরকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যামেরিকার ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট, যিনি অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার রাজনৈতিক ও আইনি পরিস্থিতি নিয়ে আগেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল, তবে তিনি তার অভিবাসনবিরোধী কঠোর বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি দাবি করেছিলেন, অভিবাসীরা “আমাদের দেশের মাটিকে বিষাক্ত করে তুলছে।” এই মন্তব্যের জন্য তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এবং সে সময় তাকে অ্যাডলফ হিটলারের সাথে তুলনা করা হয়।
২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অ্যামেরিকায় অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রবেশের হার রেকর্ড মাত্রায় বেড়ে যায়, যা অভিবাসনকে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে পরিণত করেছে। এই পরিস্থিতি বিশেষত দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসনের চাপ এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের অপ্রতুলতার কারণে গুরুতর হয়েছে।
previous post