রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দা এলাকায় দুর্গাপূজা মণ্ডপে পাঁচটি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। জেলা শহরের সজ্জনকান্দা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মন্দির কমিটি ও পুলিশ ।
জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মন্দিরের ভেতরে ঢুকে প্রতিমাগুলোর মুখের কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পরিদর্শন এবং তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নিন্দার ঝড় ওঠার পাশাপাশি অনেকেই এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন।
মন্দিরের আয়োজকদের একজন কুঞ্জন কান্তি সরকার বলেন, অস্থায়ীভাবে মন্দির তৈরি করে রাজবাড়ী- ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়। রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল। সকালে পাহারাদার চলে যায়।
তিনি জানান, বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটার শ্রমিক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও সাজসজ্জার কাজ করতে আসে। সে সময় ডেকোরেশন মিস্ত্রি লোকমান দেখে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি প্রতিমার কাছে গিয়ে দেখেন কয়েকটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে।
সজ্জনকান্দা সার্বজনীন দুর্গা মণ্ডপের সভাপতি সাধন চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
পুলিশ সুপার বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের খবর মন্দির কমিটির কেউ জানায়নি আমাদের। আমরা আমাদের সোর্সের মাধ্যেম খবর পেয়ে মন্দির পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সেই সাথে যারা এঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এই মন্দিরে আজকে ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।
previous post