চট্টগ্রামের জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির কয়েকজন সদস্য দুটি গান পরিবেশন করেন, যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ গানগুলোকে ইসলামী ভাবধারার সঙ্গীত হিসেবে চিহ্নিত করে এর প্রতিবাদ জানায়। এই ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে এবং অনেকেই মণ্ডপে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্যরা পূজামণ্ডপে গান পরিবেশন করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় পূজা উদযাপন পরিষদ দুঃখপ্রকাশ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিষদ সজল দত্তকে অনুমতি প্রদানের জন্য কমিটি থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। সংগঠনের নেতারা দ্রুত এই পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
ঘটনার পরপরই চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তিনি মণ্ডপে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তারা যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হবে। আজ রাতের মধ্যেই তাদের নামে মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে। ছাত্রশিবির এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের কোনো সদস্য এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এবং সংগঠনটি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে। পাশাপাশি, ছাত্রশিবির ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার নিন্দা জানায় ছাত্রশিবির। ওই পূজামণ্ডপে আমাদের কেউ যায়নি। তাই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি, এর সঙ্গে শিবির জড়িত

previous post