বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তোলার জন্য ,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (বিচার শাখা) রাফে মোহাম্মদ ছড়া সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীকে সাভার মডেল থানাধীন জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। তার মেয়ে, ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তার মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরকে হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, রিট পিটিশন নং-১০৭৮৭/২৪ এর ভিত্তিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের আদেশ প্রদান করা হয়। তার মেয়ে, ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে তার বাবা হারিছ চৌধুরীকে মাহামুদুর রহমান নামে জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সামিরা তানজিম আদালতে আবেদন করেন, যাতে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয় এবং তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। যদি তার পরিচয় নিশ্চিত হয়, তাহলে মৃত্যু সনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে তার নাম মুছে ফেলা এবং তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজ জেলার যথাযথ সম্মানের সঙ্গে পুনরায় দাফন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আবেদন করা হয়।
এমতাবস্থায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের আদেশ মোতাবেক কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের ১৭৬(২) ধারার বিধান অনুযায়ী হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুরকে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
এর আগে ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী তখন জানান, তার বাবা ২০২১ সালের ৩র সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।
যদিও তার চাচা আশিক চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, হারিছ ঢাকায় নয়, লন্ডনে মারা গেছেন। এ খবর প্রকাশের পর অনেকেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে উড়িয়ে দেন।
previous post