বাংলাদেশে গত ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পক্ষে যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে আন্দোলন করেছেন তাদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে যেসবছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই হতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ বিষয়ে অসত্য তথ্য প্রদান করে কোনো সুবিধা অর্জনের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হলো।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় হত্যা ও হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এ পর্যন্ত প্রায় সতের শ মামলায় তিন হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৭৪ জন হাই প্রোফাইল ব্যক্তি থাকার তথ্য দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর ৮ অগাস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা অন্যদলগুলোর নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানে গ্রেপ্তারের ওই সংখ্যা জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলেছিল, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ জনসাধারণের এক্ষেত্রে শঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ’ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে।

previous post