ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, তিনি কৃষ্ণাঙ্গ এবং মধ্যবিত্ত অ্যামেরিকানদের পরোয়া করেন না এবং তাদের উন্নয়নে তার কোনো সুসংগঠিত পরিকল্পনা নেই। হ্যারিস ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন ভোট দেয়ার আগে ট্রাম্পের নীতিগুলো যাচাই করে দেখুক, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ এবং মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের জন্য তার প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে।
নর্থ ক্যারোলাইনায় সাংবাদিক রোলান্ড মার্টিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী, সম্ভবত জো বাইডেন বা তার রানিংমেট কামালা হ্যারিস, তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং বলেন যে, এই নির্বাচনে ভোটারদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে দুটি বিশেষ দিক বিবেচনা করা উচিত।
প্রথমত, ট্রাম্প মধ্যবিত্তদের জন্য কী করতে চান, অর্থাৎ তার প্রশাসনের নীতিমালা কীভাবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনমান ও অর্থনৈতিক সুযোগের ওপর প্রভাব ফেলবে। মধ্যবিত্তদের জন্য ট্রাম্পের ট্যাক্স নীতিমালা, স্বাস্থ্যসেবা, চাকরির সুযোগ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলো ভোটারদের জন্য বিবেচ্য বিষয় বলে তারা উল্লেখ করেন।
দ্বিতীয়ত, ট্রাম্পের কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের সম্পর্কে মনোভাব এবং তার প্রশাসনের নীতি কীভাবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে, পুলিশি সহিংসতা, বর্ণবাদ, এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ট্রাম্প কী ভূমিকা পালন করছেন এবং তার নীতি কীভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন ও সমতা সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে বা হয়নি, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছেন যে, তিনি উচ্চবিত্তদের প্রেসিডেন্ট এবং তাদেরই সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। হ্যারিসের অভিযোগ ছিল যে, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এবং নীতিগুলো মূলত ধনী ব্যক্তিদের উপকৃত করেছে, আর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির জন্য তেমন কোনো উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
একটি বিশেষ অভিযোগের অংশ হিসেবে, হ্যারিস উল্লেখ করেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প অতীতে বাড়ির মালিক হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলিকে বাড়ি ভাড়া দিতে অস্বীকার করেছিলেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বিপজ্জনক” বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, ট্রাম্প ক্রমাগত বিভ্রান্তি তৈরি করে যাচ্ছেন, যা জনগণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কামালা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন সিবিএসের “সিক্সটি মিনিটস” অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারের প্রথা মেনে না চলা,প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে অংশ না নেওয়া, এবং তার স্বাস্থ্যের প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য। হ্যারিস দাবি করেন যে, ট্রাম্প এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার অভাব দেখিয়েছেন, যা একজন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এবং মনে করেন যে, এ কারণেই ট্রাম্প দেশের জনগণের কাছে নিজেকে পুরোপুরি স্বচ্ছ রাখতে চান না।
এক সাক্ষাৎকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস একটি প্রশ্নের জবাবে জানান যে, যাদের বার্ষিক আয় ৪০০ হাজার ডলারের কম, তাদের কর বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা তার নেই। এটি ছিল ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। হ্যারিস এবং বাইডেন উভয়ই বারবার উল্লেখ করেছেন যে তাদের প্রশাসন উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের ওপর কর বাড়াবে, তবে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত আয়ের ব্যক্তিদের ওপর কোনো নতুন কর চাপাবে না।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি বিভিন্ন কমিউনিটিকে বোঝাতে চাইছেন যে, তাদের ভোট দেওয়া না দেওয়া ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি এই ধরনের মনোভাবের ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
হ্যারিস ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান যে, তারা ট্রাম্পের এই ধরনের আচরণে ধোঁকা না খেয়ে সচেতনভাবে ভোট প্রদান করতে যেন এগিয়ে আসেন।
previous post