বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসেবে সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাম লিপিবদ্ধ থাকলেও তা মানছে না অন্তবর্তীকালীন সরকার।
বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মনে করে না তারা। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ১৫ আগস্টসহ জাতীয় কয়েকটি দিবস বাতিল প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথা জানান।
বাংলাদেশের জন্য বহু মানুষের অবদান আছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মনে করে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগই তাঁকে অসম্মানিত করেছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যেসব জাতীয় দিবস বাতিল করা হচ্ছে, সেগুলো চাপিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিস্ট আচরণ ছিল সেটা। সরকার মনে করেছে সেগুলো অগুরুত্বপূর্ণ, তাই বাতিল করা হচ্ছে।
১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসসহ আট জাতীয় দিবস বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বরাত দিয়ে পোস্টে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাতিল করা হচ্ছে।
এসব দিবস বাতিলের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ আরও বলেন, কোনো দিবস বাতিলের প্রয়োজন মনে হলে করা হবে এবং জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে। বাতিল করা দিবসগুলো পরবর্তীতে পুনপ্রতিষ্ঠা করা হবে কি না, তা জনগণ ঠিক করবে।