সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা রোববার থেকে কার্যকর হবে। যেহেতু বিচারকদের অপসারণের এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের নেই, আপিল বিভাগে এ বিষয়ে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া এ তথ্য জানানোর পর, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। তারা রোববার বিকেলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ উত্তাল ছিল। সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজের ব্যানারে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় আইনজীবীরা সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিচারপতিদের অপসারণের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বিচারপতিদের অপসারণসহ তিনটি দাবিতে একাধিকবার আল্টিমেটাম দিয়েছে। একই দাবিতে, সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনে আইনজীবীরাও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বেলা ৩টার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দুই সমন্বয়কসহ ছয়জন রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দীর্ঘ আলোচনার পর রেজিস্ট্রার জেনারেল জানান যে, বিচারপতি অপসারণের মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে রোববার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ চায়ের আমন্ত্রণ জানানো ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। ছাত্র ও আইনজীবীদের দুর্নীতি ও পক্ষপাতের অভিযোগে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডাকে সাড়া দিয়ে তার দপ্তরে যান বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ১২ বিচারপতিকে অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে একটি আলটিমেটাম দেন। এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
previous post