অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়ার পর অন্যতম সুইং স্টেট নর্থ ক্যারোলিনায় শুরু হলো আগাম ভোট। স্টেইটটির ভোট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কামালা হ্যারিসের লড়াইয়ে জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
হারিকেন হেলেনের আঘাতের পর স্টেইটটির এখনও অনেক বাসিন্দা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছেন। অনেকে পানি সংকটে ভুগছেন।
নর্থ ক্যারোলিনা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কামালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আসন্ন প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। জরিপগুলো থেকে উভয় প্রার্থীর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
হারিকেন হেলেন, যার আঘাতে ছয়টি স্টেইটে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে তা প্রভাব ফেলবে কিনা সেই নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
হার্ভে নিল, একজন ৭১ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত পুরুষ। নর্থ ক্যারোলিনার হেন্ডারসনভিলের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। তিনি কামালাকে ভোট দিয়েছেন। কারণ কামালা তুলনামূলক কম বয়সি এবং তিনি ডেমোক্রেট।
হারিকেন হেলেনের পর নীল নিজেকে তুলনামূলকভাবে ভাগ্যবান বলে মনে করেন। কারণ তার বাড়িতে তেমন ক্ষতি হয়নি। যদিও চার বা পাঁচদিন ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল তার পরিবার।
পোল এগরিগেটর ওয়েবসাইট ফাইভ থার্টিএইটের মতামত জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প এবং হ্যারিস নর্থ ক্যারোলিনায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে আছেন। ট্রাম্প এখানে ৪৮% ভোট পেয়েছেন; অন্যদিকে হারিসের পক্ষে গেছে ৪৭.৫% শতাংশ ভোট।
২০২০ এবং ২০১৬ সালের উভয় নির্বাচনেই নর্থ ক্যারোলিনার ভোটারদের ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আগাম ভোট ভূমিকা রেখেছে। গত মঙ্গলবার নির্বাচনের ৭ টি সুইং স্টেটের মধ্যে জর্জিয়ায় আগাম ভোট হয়।
নর্থ ক্যারোলিনা এবং জর্জিয়া ছাড়া অ্যামেরিকার অন্য সুইং স্টেটগুলো হলো: অ্যারিজোনা, মিশিগান, নেভাদা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন।
previous post