ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের কঠিন বরফ গলার জোরাল আভাস পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে ভারত এক পা আগানোর পর পাকিস্তানও এক পা এগিয়ে এসেছে। এখন দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেলেই চিরবৈরী প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে দেখা যেতে পারে উষ্ণ সম্পর্ক। এখন কেবল অপেক্ষা করা আর দেখার পালা।
অতি সম্প্রতি পাকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন- এসসিও সামিট হয়। এতে অংশ নিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শেহবাজ শরিফের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন তিনি। এই সৌহার্দ্য আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত বলে বার্তা দিয়েছেন শেহবাজের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পিএমএল-এন নেতার অনুরোধ নওয়াজ শরিফ বলেন- ভারত আমাদের প্রতিবেশী, চেষ্টা করেও সেটা বদলানো যাবে না। যদি এসসিও সামিটে মোদি আসতেন আমরা খুশি হতাম। তবে জয়শঙ্কর এসেছেন বলেও আমরা আনন্দিত। দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে আমরা বারবার চেষ্টা করেছি। গত ৭৫ বছর আমরা নষ্ট করে ফেলেছি। আরও ৭৫ বছর নষ্ট করা উচিত নয়। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের অভিযোগ, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে অনেক বেশি অবনতি হয়েছে।
গত ১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের সভাপতিত্বে আয়োজিত হয় এসসিও সামিট। প্রথামাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরই আমন্ত্রণ জানান। গত আগস্ট মাসে আমন্ত্রণপত্র যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। কিন্তু দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির কারণে মোদি এই সম্মেলনে যোগ দেননি। পরে নানা জল্পনার পর ভারত জানায় এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।
প্রায় ৯ বছর পর ভারতের এই পাকিস্তান সফর শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এই সফরকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সৌজন্যের করমর্দন এবং সাক্ষাৎকে ঘিরেও কম আলোচনা হয়নি। তবে পাকিস্তানের তরফ থেকে নতুন করে বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে এখনো ভারতীয় কর্তৃপকক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। গত ১৭ অক্টোবর এসসিও প্রতিনিধিদের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ তার বাসভবনে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাইডলাইনে জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
![](https://www.nybanglalife.com/wp-content/uploads/2024/10/4c2b76ff5185b1548f86c5ed4bc7b4214273f6bc3c730174.jpg)
previous post