ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) স্কুলের বাইরে একটি বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণে জন্য বিজেপিকে দুষছেন দিল্লির আম আদমি পার্টির (আপ) মুখ্যমন্ত্রী আতিশি মারলেনা।
বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপণ দলের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিক তদন্তে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সাথে ব্যবহৃত উপাদানগুলো তাজা বোমার মতো মনে হচ্ছে, যা টাইম বোমার সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে। তবে বোমাটির সঠিক ধরন এবং এর নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ হওয়ার পরই বিস্ফোরণের প্রকৃতি এবং এর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া যাবে।
বিস্ফোরণের সঙ্গে আপাতত কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সম্পর্ক নেই বলে মনে হচ্ছে। তবে সূত্রগুলো বলছে, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে দিল্লির রোহিণী জেলার প্রশান্ত বিহারে সিআরপিএফ স্কুলের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনার পর এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে এবং দিল্লি পুলিশের সন্ত্রাস দমন ইউনিটের বিশেষ শাখা ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
দিল্লি পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের দোকান ও parked গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, আশার বিষয় হলো, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
ঘটনাস্থলে অপরাধ দমন বিভাগের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা কাজ করছে। পাশাপাশি, জাতীয় তদন্ত দলের (এনআইএ) সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি তদন্তে সহায়তা করছেন।
ভারতের সংবাদ সংস্থা (এএনআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশি মারলেনা বিস্ফোরণের জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে বলেন, “দিল্লির আইনশৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় শাসক বিজেপির। কিন্তু বিজেপি তা না করে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব পালনে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করছে। এই কারণে আজ দিল্লির এই অবস্থা হয়েছে।”
মারলেনা আরও উল্লেখ করেন, “দিল্লির আজকের অবস্থা ১৯৯০-এর দশকের মুম্বাইয়ের অপরাধজগতের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে,” যা রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতি ইঙ্গিত দেয়।

previous post