রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পর পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত রয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর এবং রাতব্যাপী আন্দোলনের পর আজ বুধবারও বঙ্গভবনের সামনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে মোতায়েন রয়েছে।
বঙ্গভবনের সামনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গতকালকের আন্দোলনের পর আজ বুধবার সকালে ছাত্র-জনতার সরাসরি উপস্থিতি কম থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, এবং এপিবিএন সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকরা রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তা এড়িয়ে যান। তার সঙ্গে গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর বিকেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা—আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের—মধ্যে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। বৈঠকে মূলত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হতে পারেন, সেই সম্ভাব্য নাম ও প্রক্রিয়া নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকের পর প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে—আইজিপি, র্যাবের মহাপরিচালক, এবং ডিএমপি কমিশনার—আলোচনা করেন।