রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদে থাকা বা না থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তাঁর মতে, এই বিষয়টি কোনো সাংবিধানিক প্রশ্নের মধ্যে পড়ে না, বরং এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পদে থাকা নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা মূলত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবেচিত হওয়া উচিত এবং এই মুহূর্তে তা কোনো সাংবিধানিক সঙ্কটের প্রশ্ন নয়।
বিক্ষোভকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “রাষ্ট্রপতি থাকবেন না–কি থাকবেন না, প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কোনো আইনী বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়, এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলার প্রতি।”
তিনি বলেন, “আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আমরা সচেতন থাকি, শান্ত থাকি যাতে এমন কোনো পরিস্থিতির তৈরি না হয় যেটির সুযোগ সুবিধাভোগী গোষ্ঠী নিতে পারে।”
নাহিদ বলেন, “জনগণের দাবির প্রতি আমাদের সংহতি ও সংবেদনশীলতা রয়েছে। তবে সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, এ বিষয়ে যেন কোনো ধরনের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না হয়।”
এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বঙ্গভবন বা অন্য কোনো স্থানে বিক্ষোভ বা আন্দোলনের প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেন।
পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে,অস্ত্র নিয়ে মিছিল করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে দাবি করে নাহিদ বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে দাঁড়াতে না পারে, তাদের বিরুদ্ধে যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ গড়ে তুলি।”
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া আল্টিমেটাম নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যেতে পারলে সকলকে জানানো হবে।”