রাষ্ট্রপতির পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা বা না–থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়।
বৈঠকে, বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের তিন নেতা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁদের দলের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন। বহুল আলোচিত রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনায় আসে।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের প্রশ্নে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই বিষয়টাতে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনার মধ্যে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের তিন নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অবস্থান জানিয়েছেন। দলটি এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না। বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি মন্তব্য প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি দাবি করেন যে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এই মন্তব্য প্রকাশের পর বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবি জোরালোভাবে ওঠে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানায় এবং গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি মন্তব্য প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি দাবি করেন যে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এই মন্তব্য প্রকাশের পর বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবি জোরালোভাবে ওঠে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানায় এবং গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে। বিশেষ করে, ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনের সামনেও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। গভীর রাতে ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনেও বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভগুলো রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ঘিরে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে বাদ দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সরকারের তরফ থেকে নানা তৎপরতার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে রাষ্ট্রপতির পদে প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি রাজি হননি বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
আজই প্রথম অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একাধিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ছাত্রদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জোরালোভাবে এসেছে। তবে, কিছু রাজনৈতিক দল মনে করে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে, যা তারা এ মুহূর্তে চায় না। উপদেষ্টা পরিষদে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়, এবং সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে সমাধান খোঁজা হবে।