গ্রেফতার আতংকে অ্যামেরিকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইউনুস সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। নির্ধারিত কোনো সভায়ই তারা যোগদান করেননি। তারা হোটেল ছেড়ে দিয়ে অ্যামেরিকা ম্যারিলেন্ডে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সুরক্ষিত বাসায় আত্মগোপনে আছেন।
রাষ্ট্রদূতের বাসা কূটনৈতিক এলাকায় হওয়ায় পূর্বানুমতি ছাড়া সেখান থেকে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনা। বিশ্বব্যাংক আইএমএফ এর বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা দুজনই বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন। কোন রকমের নোটিশ ছাড়াই গতরাতে তারা দুজন হোটেল ছেড়ে চলে যান।
অ্যামেরিকার আদালত ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ কার্ল জে নিকোলস বৃহস্পতিবার এক আদেশে সালেহ আহমেদ ও আহসান এই মনসুরকে “আটক করে আদালতে আনার জন্য” অ্যামেরিকার মার্শাল সার্ভিসকে নির্দেশ দেন। অ্যামেরিকার পাওয়ার খাতের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্মিথ কোজেনারেশন কোর্টে ৩১.৯ মিলিয়ন ডলারের একটি সালিশি মামলা করেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্রজানায়, অর্থ উপদেষ্টা এবং গভর্নর শুক্রবারের কোনো অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠান কাভার করতে বাংলাদেশ থেকে আগত এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা সারাদিন অপেক্ষা করেও কোনো অনুষ্ঠানে তাদের দেখা পাননি। দূতাবাস সূত্র জানায়, গ্রেফতার আদেশের খবর পাওয়ার পর গতকাল রাতে হঠাৎ করেই অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর ওয়াশিংটন ডিসির ১০ নং সড়কে অবস্থিত এম্বাসি স্যুট হোটেল ছেড়ে দেন।
দূতাবাসের গাড়িতে করে তারা দুইজনই ম্যারিল্যান্ডের ৪ নং হাইবোৰো কোর্টের বাসায় চলে যান। আজ সারাদিন বাসা থেকে বের হননি। তারা সেখানে বসেই দূতাবাসের মাধ্যমে আইনজীবী নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ইউনুস সরকারের প্রতিঅ্যামেরিকার সরকার সন্তুষ্ট না। নয়তো বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের আমন্ত্রনে অংশ নিতে আসা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা হবার কথা না।