আনিস আলমগীর, সিনিয়র সাংবাদিক
খবরে দেখলাম, শেখ হাসিনা ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন আগামী ৮ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের নেতারা এখনও তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই সম্বোধন করছেন। বিষয়টি ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের নজরে আনা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশের নির্বাচনী আইন এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল বিদেশে শাখা খোলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা “রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮”-এর আওতায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের অভ্যন্তরেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভূখণ্ডে শাখা স্থাপন করতে পারে।
বিদেশে শাখা খোলা হলে এটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি প্রভাব বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এছাড়া, বিদেশে থাকা শাখাগুলো বাংলাদেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে কাজ করতে পারে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।
তবে, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থনে কর্মসূচি বা সমাবেশ করতে পারে, কিন্তু সেটি বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়, দলীয় শাখা হিসেবে নয়।
কিন্তু বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ বিগত কয়েক বছরে তাদের বিদেশি শাখাগুলোর মাধ্যমে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, তা নির্বাচনী আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। দেখা গেছে, নির্বাসনে গেলে এসব শাখা তাদের প্রধান আশ্রয় হয়ে দাঁড়ায়। আর ক্ষমতায় থাকাকালে দলের নেতাকর্মীরা বিদেশ সফরে গেলে এসব “দোকানদাররা” তাদের আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকে।
এখন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে—আওয়ামী লীগ ভারত শাখা কবে খুলবে? পলাতক নেতাকর্মীদের জমায়েত তো সেখানে ভালোই হয়েছে। নাকি এই দায়িত্ব ইতিমধ্যেই ভারত সরকার পালন করছে তাদের হয়ে?