অ্যামেরিকা একটি মারাত্মক শীতকালীন তুষারঝড়ের সম্মুখীন হতে চলেছে, যা দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। দেশজুড়ে প্রায় একশো মিলিয়ন মানুষ শীতকালীন ঝড়ের সতর্কবার্তার আওতায় রয়েছেন।
মিনেসোটার একাংশসহ মিশিগানের পশ্চিমাঞ্চল, পেনসিলভেনিয়ার ও নিউ ইয়র্কের পশ্চিমাঞ্চলেও ভ্রমণে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (NWS) জানিয়েছে যে নিউ ইয়র্ক সিটির পাশাপাশি ফিলাডেলফিয়া এবং রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দারাও শীঘ্রই প্রবল ঝড়ো বাতাস এবং তুষারঝড়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন।
তুষারঝড়ের কারণে অ্যামেরিকায় এই সপ্তাহে হাড় কাঁপানো শীতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রবল তুষারপাত এবং ঝড়ো বাতাসের সম্মুখীন হতে পারে বহু অঞ্চল। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই পারদ নিম্নমুখী হতে শুরু করবে, যা পরিবহন ব্যবস্থা, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং জরুরি পরিষেবাগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
নর্থ-ইস্ট অর্থাৎ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসা এই শ্বেতশুভ্র ঝড়ের প্রভাব কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আপার মিডওয়েস্ট থেকে নর্থইস্টের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিশেষ করে বুধবার রাতে গ্রেইট লেইক থেকেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্রমশ বিপজ্জনক রূপ নিয়ে পা বাড়াবে নর্থ-ইস্টের দিকে।
মধ্য-আটলান্টিক থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে এই শীতকালীন তুষারঝড় ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন, ঝড়টি ঘণ্টায় ৩৫ মাইল বা তার বেশি গতিবেগে প্রবল বাতাস নিয়ে আছড়ে পড়বে, যা একটানা তিন ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে। শুক্রবার নাগাদ নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা এই ঝড়ের পূর্ণ শক্তি অনুভব করবে এবং তা জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
এমনিতেই গত কয়েকদিনের অব্যাহত তুষারপাতে নিউ ইয়র্কের একাংশে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। ক্যানসাস সিটিতেও রাস্তায় যান আটকে পড়ছে। তবে নিউ ইয়র্কের উত্তরাঞ্চলে ২০ ইঞ্চি তুষারপাতের সঙ্গে ঘণ্টায় ৪৫ মাইল বেগে হাড় কাঁপানো বাতাস প্রবাহিত হতে পারে বলে আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।

previous post