অ্যামেরিকার ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সোমবার প্রকাশিত ইউনিফর্ম ক্রাইম রিপোর্টিং প্রোগ্রামের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, দেশে খুনের ঘটনা ১১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ২০২২ সালে প্রতি ১০০ হাজার মানুষের মধ্যে খুনের হার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
এফবিআই দ্বারা তৈরি এই প্রতিবেদনে দেশে হত্যা ও ধর্ষণের মতো গুরুতর সহিংস অপরাধ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে দেশে খুনের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সহিংস অপরাধের মোট পরিসংখ্যানও তিন শতাংশ কমেছে।
এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে, গত কয়েক দশকে প্রথমবারের মতো হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সহিংস অপরাধ সংঘটিত হয়েছে আনুমানিক ১ মিলিয়ন ২১৮ হাজার ৪৬৭টি। এর মানে হলো, প্রতি ১০০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে সহিংস অপরাধের হার ছিল ৩৬৩.৮টি, যা ২০২২ সালে ৩৭৭.১টির থেকে কম।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে ধর্ষণের মতো অন্যান্য অপরাধ ৯ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া, নির্যাতন অপরাধের হার ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ডাকাতির ঘটনা ০ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
মহামারি চলাকালীন সময়ে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও সেই সময় খুনের ঘটনা হ্রাস পায়। তবে মহামারি-পরবর্তী সময়ের মধ্যে খুনের ঘটনা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালে মোটর গাড়ি চুরির ঘটনা ১২.৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় এফবিআই। তবে সামগ্রিকভাবে প্রপার্টি অপরাধ ২.৪ শতাংশ কমেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ চুরির ঘটনা ৭.৬ শতাংশ এবং লুটপাটের ঘটনা ৪.৪ শতাংশ কমেছে।
এফবিআইয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বেড়েছে। তবে প্রতিবেদনে বিশেষ করে কোন গ্রুপকে সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়েছে, সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
previous post