আইন উপদেষ্টা যখন সরকারের সমালোচনা করে পোস্ট বা বক্তব্য রাখতেন, তার সেই পুরনো বক্তব্যগুলো ভাইরাল হচ্ছে। হাজারো মানুষ জানতে চাইছে আসিফ নজরুল বেঁচে আছেন কিনা, কিন্তু তিনি জবাব দিচ্ছেন না।
এনওয়াই বাংলা স্পেশাল
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ইসলামকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। একজন বেঁচে থাকা জলজ্যান্ত মানুষের ‘বিদেহী আত্মার’ শান্তিও কামনা করছে মানুষ।
মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের আওয়ামী লীগ সরকারের মতই দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আসিফ নজরুলকে খুঁজতে শুরু করেছেন হাজারো, লাখো মানুষ। তার ফেইসবুক পাতায় শত শত কমেন্ট করছেন, কিন্তু তিনি সাড়া দিচ্ছেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই অধ্যাপক বহু বছর ধরেই সরকারের সমালোচনায় ছিলেন মুখর। তিনি কখনও ক্ষমতায় আসতে পারলে কী কী করতেন, তার বিবরণ দিয়ে বেড়াতেন। কিন্তু তার পুরনো কথার সঙ্গে আজ তিনি যখন সরকারের অংশ, তার মিল খুঁজে না পাওয়া মানুষের এই খুঁজে বেড়ানোর কারণ।
তবে মানুষের বর্তমান জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নের কোনো জবাব দিচ্ছেন না ইউনূস সরকারের আইন উপদেষ্টা। বরং গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে বিভ্রান্ত করা এবং জনমনে অহেতুক প্রশ্ন সৃষ্টি অসৎ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তবে এটা ঠিক আমি মিডিয়াতে একটু কম আসছি। কারণ আমার অনেক কাজ। কাজের যদি অগ্রগতি হয় সেটা আমি জানাব, অহেতুক মিডিয়ার সামনে আসার তো দরকার নেই। এখন কাজ করতে হবে, এর জন্যই তো আমার এখানে আসা।’
তার এই বার্তা দেয়ার কারণ, গুঞ্জন ছড়িয়েছিল তিনি সপরিবারে অ্যামেরিকা চলে যাবেন। এর জবাব দিতে গিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা গুজব রটাচ্ছেন তাদের অনুরোধ করব মিনিমাম অনুসন্ধান করে এগুলা প্রচার করেন, নাহলে মানুষ আপনাদের মিথ্যাবাদী ভাববে।’
তবে মানুষ সুনির্দিষ্ট যে প্রশ্নগুলো তুলছে, সে বিষয়ে আইন উপদেষ্টা কোনো কিছু বলছেন না, এক সময় তার ফেসবুক পোস্টে কেউ কমেন্ট করলে কিছু কিছু জবাব দিতেন, এখন তাও দিচ্ছেন না।
৫০০ টন ইলিশ বেশি নাকি ৩০০০ টন
যখন সরকারে ছিলেন না, আসিফ নজরুল ভারতে ইলিশ রপ্তানির কেবল বিপক্ষে ছিলেন না, আওয়ামী লীগ সরকার কেন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল, সে জন্য তিনি ধুয়ে দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের দুর্গা পূজায় ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার পর ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ! বিপুল পরিমাণে ইলিশ ভারতে রপ্তানি করে তাদের কেন খুশি করা হচ্ছে? সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষ মেরে ফেলার জন্য? অভিন্ন নদীর পানি থেকে আমাদের বঞ্চিত করার জন্য? বাণিজ্য ভারসাম্য না রাখার জন্য? কথায় কথায় বাংলাদেশ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য?’
আসিফ নজরুল যে সরকারের অংশ, সেই সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার একাধিকবার বলেছিলেন, তারা ভারতকে ইলিশ দেবেন না।
গত ১১ আগস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যাতে ইলিশ মাছ পায় এবং দাম কমে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না।’
দুই দিন পর একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আবার বলেন, ‘ইলিশ দামি মাছ। এ মাছ ভারতে চলে যাওয়ায় আমাদের এখানে নাগালের বাইরে দাম থাকে। সাধারণ মানুষ তা খেতে পায় না। আমরাও দুর্গাপূজা উদ্যাপন করি, আমাদের জনগণই তা উপভোগ (খেতে) করতে পারে।’
কিন্তু সরকার ১৮০ ডিগ্রি উল্টে গিয়ে কেবল রপ্তানির অনুমতিই দেয়নি, যে পরিমাণ পাঠানোর কথা বলছে, তা দেখে প্রশ্ন তুলছেন এতদিন সরকারের গুণমুগ্ধরাই।
ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্ত, এবার দূর্গাপূজায় তিন হাজার টন ইলিশ পাঠানো যাবে ভারতে। সিদ্ধান্তটি এমন সময় এল, যখন ভরা মৌসুমে জাতীয় এই মাছটির দাম বিস্ময় তৈরি করছে।
২১ সেপ্টেম্বর সরকারের সিদ্ধান্ত আসার পর পর আসিফ নজরুলের পাঁচ বছর আগের স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে যায়। শত শত মানুষ সেই স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্ট করতে থাকেন। ৫০০ টন বেশি নাকি ৩ হাজার টন বেশি-সেই প্রশ্ন তুলতে থাকেন তারা।
প্রিন্স কাওসার ইবনে সিরাজ নামে একজন কমেন্টে লেখেন, ‘ড. আসিফ স্যারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
আত্মার মাগফেরাত প্রসঙ্গ কী করে এল
জান্নাতুল ফারিয়া নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করে আসিফ নজরুলের ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘আজ যদি অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল ভাই বেঁচে থাকতেন তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়ে যাওয়া হতভাগা তোফাজ্জলের জন্য কমপক্ষে ১৪০০ শব্দের একটা আগুনঝরা নিবন্ধ লিখতেন।’
সেই পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছাপা হতো। অনলাইন অফলাইনে পত্রিকাটির কাটতি বেড়ে যেত অনেক। আফসোস তিনি বেঁচে নেই…তার বিদেহী আত্মা’র মাগফিরাত কামনা করছি। এমন মৃত্যু জাতীয় আশা করেনি…তোফাজ্জলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
এই পোস্টটি আসলে কে কখন প্রথম করেছেন, তা চিহ্নিত করা যায়নি। তবে শত শত বা হাজার হাজার মানুষই একই পোস্ট করেছেন।
এই প্রসঙ্গটি এসেছে সরকার পতনের পর আইন হাতে তুলে মানুষ যেভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করছে, সংঘাতে জড়াচ্ছে, তাকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যেও সরকারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই।
একই দিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোল্লা শামীম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে মারার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদ সম্মেলনে আসা আইন উপদেষ্টাকে বিষয় দুটি নিয়ে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি নিয়ে কথা বললেও চেপে যান জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা আমাদের সবাইকে মর্মাহত করেছে। আমরা ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনজনকে গ্রেপ্তার (ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়) করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য যত রকম পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তত রকম পদক্ষেপ নেব।’
বাংলাদেশে ২৬ লাভ ভারতীয়র খোঁজে
আসিফ নজরুলের অতীতের আরও একটি বক্তব্য আবার সামনে এসেছে, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশে ২৬ লাখ ভারতীয় চাকরি করে।
সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘পাকিস্তানের শাসনাধীন ছিলাম, অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাসন ছিল। আমাদেরকে তারা অনেকভাবে শোষণ করেছে, আমরা এটা জানি। আমার প্রশ্ন, যখন আমরা পাকিস্তান আমলে ছিলাম, তখন কতজন পাকিস্তানি এই দেশে চাকরি করত, আর স্বাধীন বাংলাদেশে কতজন ভারতীয় এই দেশে চাকরি করে?
‘আমরা পত্রপত্রিকায় পড়ি ২৬ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকরি করে। বাংলাদেশের ছেলেরা চাকরি পায় না, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে আর ভারতের ছেলেরা চাকরি করছে।’
২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি একই প্রসঙ্গে লেখেন, ‘অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে ভারতীয় বাহিনীর হাতে গুলি খেয়ে প্রাণ হারায় বাংলাদেশের মানুষ। অবৈধভাবে ভারতীয়রা এ দেশে কাজ করে কীভাবে? সেও এতো বিপুল সংখ্যায়, দেশে এত প্রকট বেকার সমস্যা থাকার পরও। এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত সরকারের কাছে এসব প্রশ্ন তোলা। জবাব চাওয়া।’
আসিফ নজরুল সরকারে এসেছেন দেড় মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। এই ভারতীয় নাগরিকদেরকে কেন খুঁজে করে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলছে হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু আসিফ নজরুল চুপ।
যে প্রশ্ন তিনি চার বছর আগে বারবার তুলেছেন, সরকারে এসে এখন জবাব খোঁজার চেষ্টা চোখে পড়ছে না।
জীবন দিয়ে কাজ করতে চাওয়া আসিফ নজরুল এখন কী করছেন
কখনও সরকারে আসতে পারলে মানুষের মন জয় করতে জীবন দিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। ২০১৩ সালের হজের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘হায় আল্লাহ, আমার খালি মনে হয়, আমি যদি কোনোদিন কোনো মন্ত্রণালয় বা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেতাম, জানি না চেঞ্জ হবে নাকি ভবিষ্যতে…জীবন নিয়ে কাজ করতাম মানুষের হৃদয় জয় করার জন্য, মানুষের হৃদয় জয় করা মানে আল্লাহর হৃদয় জয় করা।’ এই বক্তব্যটিও ভাইরাল হয়েছে নতুন করে।
আইন উপদেষ্টা হওয়ার পর গত ২৮ আগস্ট আসিফ নজরুলের একটি বক্তব্য তুমুল আলোচনা তৈরি করে। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হত্যা মামলার আসামি করার বিষয়ে এক প্রশ্নে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘আমিনুল জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিল, আমিনুলকে যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তখন কি আপনারা প্রশ্ন করেছিলেন?”
তিনি আরও বলেন, ‘সাকিব তো আর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য কিছু বয়ে আনে নাই। সাকিব নিজেই অনেক কিছু অর্জন করেছে। আমিনুল তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য পুরস্কার বয়ে এনেছিল। এনেছিল না? জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিল। সাকিবের বিরুদ্ধে তো জাস্ট মামলা হয়েছে আর আমিনুলকে তো জেলে ভরা হয়েছে।’
বাসে চেপে কবে সচিবালয়ে যাবেন আসিফ নজরুল
কখনও ক্ষমতায় যেতে পারলে কী কী করবেন, সেই পরিকল্পনা সেই ২০২০ সালের ১২ জুন জানিয়ে রেখেছিলেন আসিফ নজরুল। সেদিন ফেসবুক পেজে তিনি লিখেন. ‘যদি ক্ষমতা থাকতো, আইন করতাম, বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগণ চিকিৎসা নিতে বিদেশ যেতে পারবেন না। ক্ষমতা, চাকুরি বা ব্যবসা, কোনোভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না। সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গণপরিবহনে চড়তে হবে। রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না।’
না, গত ৮ আগস্ট আইন উপদেষ্টা হওয়ার পর একদিনও তিনি গণপরিবহনে চেপে সচিবালয়ে যাননি। সরকারি গাড়িতে চড়েই গিয়েছেন।
সাবেক মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীরা বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন না, এমন আইন করার উদ্যোগও নেননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী তথা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চলার সময় রাস্তা ফাঁকা করা হবে না, এমন কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
আসিফ নজরুল সেদিন আরও লিখেন, ‘বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা (মন্ত্রী) অতি জরুরি ছাড়া কোনো সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এ বিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে। জনগণের টাকায় কোনো কিছু উদ্বোধন বা জনগণের সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে।’
এখন পর্যন্ত বর্তমান সরকার কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেনি, উদ্বোধন করেনি, ফলে এই বিষয়ে আসিফ নজরুল কথা রাখতে পারবেন কিনা, সেটি জানার সুযোগ হয়নি।
তবে সেদিন তিনি আরও লেখেন, ‘তাদেরকে (মানে মন্ত্রীদের) মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে।’
তবে আসিফ নজরুলকে মাননীয় বলা যাবে না- এমন কোনো আদেশ জারি হয়নি।
চার বছর আগে তিনি লিখেছেন, ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের দেশে বিদেশে সকল সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগণকে জানাতে হবে। দুদকের একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে।
তবে এখন পর্যন্ত আসিফ নজরুল তিনি বা তার পরিবারের সম্পত্তি ঘোষণা করেননি।
তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী- তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।’
তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সন্ত্রাসীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সাধারণ মানুষের জীবনেই নরক হয়ে গেছে।