জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনকে সামনে রেখে নিউ ইয়র্কে হাজারো তরুণ একটি সমাবেশ করেছে, যেখানে তারা বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
এই আন্দোলন জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎসের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাচ্ছে। তরুণদের এই উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক পদক্ষেপের জরুরিতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
‘ইয়ুথ ক্লাইমেট জাস্টিস’ শীর্ষক সমাবেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা একত্রিত হন। এই সমাবেশে তরুণদের সমর্থন জানাতে প্রবীণরাও অংশ নেন, যা প্রজন্মগত ঐক্যের একটি শক্তিশালী প্রদর্শনী। অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বনেতাদের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে ঐক্যমতে পৌঁছানোর জোরালো দাবি জানান।
ম্যানহাটনের ফোলে স্কয়ারে কয়েক হাজার তরুণ জমায়েত হন, যেখানে তারা বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করেন। এই সমাবেশের আয়োজন করে বেশ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন। অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড হাতে ক্লাইমেট জাস্টিসের পক্ষে নানা স্লোগান দেন এবং তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
তরুণদের এ সমাবেশে তাদের মূল দাবি ছিল যে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় ফসিল ফুয়েল (জীবাশ্ম জ্বালানি) ব্যবহার বন্ধের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ দাবিকে সমর্থন জানাতে তারা মিছিল নিয়ে ব্রুকলিন ব্রিজ পদক্ষিণ করেন। তরুণদের এই দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন প্রবীণরাও, যারা র্যালিতে যোগ দিয়ে জানান যে, তরুণদের এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে তারা পাশে রয়েছেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন যে দেশের প্রেসিডেশিয়াল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় জলবায়ুর ন্যায্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনায় রাখা উচিত। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কামালা হ্যারিস বেশি আন্তরিক। হ্যারিসের নীতি ও অবস্থান তাদের কাছে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে আরও প্রতিশ্রুতিশীল বলে মনে হয়েছে। তাই তারা নির্বাচনে জলবায়ু ন্যায্যতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০২৮ সালের আগেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে একটি বৈশ্বিক ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে।

previous post