এবার আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন চান বদিউল আলম মজুমদার, এখতিয়ার ছাড়াই সংবিধান লিখতে চান আলী রিয়াজ, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চান আসিফ নজরুল, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যেও মুখে কুলুপ পশ্চিমাদের।
এনওয়াই বাংলা স্পেশাল
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ শাসনামলের শেষ ১০টি বছর নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে ক্রমাগত, শেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দুটিতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা অংশ নেয়নি। এই পুরো সময়টায় সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে কথিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ছিলেন সোচ্চার।
এদের একজন হলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, যিনি বছরের পর বছর ধরে সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে তার মাখামাখিও ছিল চোখে পড়ার মত।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ক্রমাগত এই বক্তব্য দিয়ে গেছেন বদিউল।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য পাল্টে গেল পুরো ১৮০ ডিগ্রি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেকেই পালিয়েছেন। এখন দলটির নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে সে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।’
অথচ গত জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যখন না আসার বিষয়ে অটল, সে সময় বদিউলের বক্তব্য ছিল ভিন্ন।
২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকায় একটি গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা না হলে কে জিতবে তা পূর্ব নির্ধারিত। তাহলে কি যথার্থ বিকল্প হলো? তাহলে কি এটা নির্বাচন হলো? প্রধান দুটি ব্র্যান্ড যদি না থাক, তাহলে সেটা নির্বাচন হয় না, সেটা নির্বাচন-নির্বাচন খেলা হতে পারে।’
এখন স্পষ্ট হল, ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে বদিউল সেই তার ভাষাতেই নির্বাচন-নির্বাচন খেলা খেলতে চাইছেন। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতের ফ্রেন্ডলি ফাইটের আয়োজন করতে চান তারা।
কেউ বলতে পারেন, আওয়ামী লীগও তো একই কাজ করেছিল। তবে পার্থক্য হলো, সেই ব্যবস্থায় বিএনপি ও তার শরিকরা ভোটে আসতে রাজি ছিল না, কিন্তু আওয়ামী লীগ বর্তমান অবস্থাতেও ভোটে আসতে চায়, সে কথা সোজাসাপ্টাই বলছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
কিন্তু বদিউল এখন আওয়ামী লীগ বা তার জোটের শরিকদেরকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী। যদিও আওয়ামী লীগের এই চেষ্টা গত ১০ বছর অগণতান্ত্রিক হয়, তাহলে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের চেষ্টা গণতান্ত্রিক হয় কী করে? জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তারা ভোট দেবে না-বিষয়টা একেবারে সরল।
বদিউল এখন আর কেবল নাগরিক সমাজের সদস্য না, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে কমিশন করে দিয়েছে, তিনি তার প্রধান। ফলে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের ইচ্ছাটা পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কার কথা ঠিক, ইউনূস নাকি গভর্নর?
অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক পক্ষপাত দেখানোর কথা না। তবে এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নানা বক্তব্যে রাজনৈতিক পক্ষপাত, প্রতিহিংসা স্পষ্ট, অথচ এরা এতদিন প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার দাবি করেছিলেন। সরকার ও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতেন, কিন্তু এখন সমালোচনার পথও রুদ্ধ করে দিয়েছেন তারা, যদিও আবার প্রকাশ্যে ইউনূস বলেছেন, ‘প্রাণ খুলে আমাদের সমালোচনা করুন।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার রিজার্ভ তলানিতে রেখে গেছে। অথচ বাস্তবতা হল ২০০৮-৯ অর্থবছরে, যেবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরে, সে বছর দেশে রিজার্ভ ছিল ৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে একে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশের রিজার্ভও ক্ষয় হওয়া শুরু হয়। সরকার পতনের আগ পর্যন্ত নেট রিজার্ভ ছিল ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আইএমএফের বিপিএম সিক্স পদ্ধতিতে তা ছিল ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
একে তলানি বলেছেন ইউনূস, অথচ তার সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর যুগান্তর পত্রিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা শ্রীলংকার মতো ভঙ্গুর নই। আমাদের এখনো প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে।’ তার এই বক্তব্যটি ছাপা হয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর।
ইউনূস ভাষণ দেওয়ার সাত দিনে রিজার্ভ বেড়ে গেছে, বিষয়টা এমন নয়, বরং তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমান সরকারের দেড় মাসে রিজার্ভ বাড়েনি এতটুকু, যদিও এখন দাবি করা হচ্ছে রিজার্ভ চাপ কমেছে।
কোন এখতিয়ারে সংবিধানে হাত?
এবার আসা যাক সংবিধান সংস্কার কমিটি নিয়ে। একটি অনির্বাচিত সরকার কীভাবে কোন এখতিয়ারে সংবিধান সংস্কার করবে- এই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি সাফ বলেছেন ‘সত্যিকার অর্থেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনটা হতে হবে। এই নির্বাচনের পরেই যারা নির্বাচিত হবেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কোন পরিবর্তনগুলো দরকার। শুধু পরিবর্তন দরকার নাকি বাতিল করে নতুন করে লিখতে হবে, সেটা পার্লামেন্টই সিদ্ধান্ত নেবে কী করতে হবে।’
কিন্তু ইউনূস সরকার গণতান্ত্রিক বিধি বিধান ও আইনের শাসনের তোয়াক্কা না করে পক্ষপাতও দেখাচ্ছে। তিনি প্রথমে সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান করেছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিককে, যিনি সংসদ বহাল রেখে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মত দিয়েছিলেন।
এভাবে গায়ের জোরে সংবিধান পরিবর্তন যে সম্ভব না, সেই বোধ শাহদীন মালিকের আছে, সে ইঙ্গিত তিনি নানা সময় দিয়েছেন। তাই ইউনূস ১০ দিনের মাথায় তাকে পাল্টে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করে দিয়েছে আলী রিয়াজকে যিনি আইনজ্ঞও না, ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক।
সবচেয়ে বড় কথা আলী রিয়াজের সংবিধান নিয়ে স্পষ্ট আলাদা অবস্থান আছে। তিনি শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর ধার না ধেরে সংবিধান নতুন করে লেখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধানে একটা দাড়ি-কমার পরিবর্তনও হতে হয় সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নতুন করে যে সংবিধান লেখা হয়, সেটাও গণপরিষদের বাইরে নয়।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে যে সংবিধান লেখা হয়, সেটি অনুমোদন করে ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত গণপরিষদ।
সেটি নিয়েও একটি পক্ষ বিতর্ক করার চেষ্টা করে যে, ৭০ সালের নির্বাচন হয়েছিল পাকিস্তানের কাঠামোতে, সেই সংসদের সদস্যরা কীভাবে সংবিধান রচনা করবে। এই প্রশ্ন আলী রিয়াজরাই করতেন, এখন কোন এখতিয়ারে, জনগণের কোন মতামতের ভিত্তিতে তারা সংবিধান রচনা করবেন?
আলী রিয়াজ স্পষ্টতই নতুন করে সংবিধান লেখার পক্ষে, তাকে নিয়ে সংস্কার কমিশন গঠন করলে সেটি কীভাবে পক্ষপাতের বাইরে যাবে?
নিজামী-মুজাহিদের আইনজীবীকে দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের বিচার?
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তো আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চাইছেন। যে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তা দেশের প্রাচীনতম ও দুই বৃহৎ দলের একটিকে বাদ দিলে তা টেকসই হবে কি না, সেই ভাবনাও তার মধ্যে নেই।
রাজনীতিতে চিরস্থায়ী সরকারি দলে যেমন কেউ থাকে না, তেমনি বিরোধী দলেও কেউ চিরস্থায়ী থাকে না। মুক্তিযুদ্ধে এত নৃশংসতার পরেও জামায়াতে ইসলামীর এখন দাপটই সেই উদাহরণ।
আন্দোলনে পাল্টাপাল্টি সহিংসতার মধ্যে প্রাণহানির দায় এককভাবে আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে আসিফ নজরুল কী চাইছেন, সেটি স্পষ্ট।
তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর বলেছেন, ‘সংস্কার বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না। এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।’
জুলাই ও আগস্টে আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনা কোনোভাবেই যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যার সংজ্ঞায় পড়ে না। ফলে এর বিচার করা গেলেও তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সুযোগ নেই।
কিন্তু এই চিন্তা প্রথম এসেছে আসিফ নজরুলের মাথা থেকেই। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম সে কথা তিনিই বলেছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর ‘আন্তর্জাতিক মানের’ বিচারের দাবি তোলে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন, সেটিই স্পষ্ট করতে পারেননি।
প্রতিহিংসা কাকে বলে এরপর সেটি আরও স্পষ্ট হয়, যখন ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, তার সরকারের মন্ত্রী, বহু সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাশাপাশি ২৫ জন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা পড়ে। এই সাংবাদিকরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন বছরের পর বছর।
এই বিচার যে প্রহসন তো রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী বা চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগেই তো স্পষ্ট। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানো তাজুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন আসিফ নজরুল।
মানবাধিকার সংগঠন, পশ্চিমারা এখন কোথায়
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ ও তার অনুসারীদের ওপর যে নির্মম আক্রমণ চলছে, সে বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এখন নীরব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক রোগীকে পিটিয়ে হত্যার আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতাকে। সেই ঘটনাটি নিয়ে কয়েক ঘণ্টা কোনো আলোচনাই হয়নি, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটির সমান্তরালে এসেছে সেটি।
সেটি যে চাপা পড়ে যেত, তা স্পষ্ট তো ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর ঘটনাটি। সেখানে শিবির কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে, ২০১৪ সালে যার হাত-পায়ের রগ ও একটি পা কেটে নেয় শিবিরের নেতাকর্মীরা।
এরপর রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। চার দিন বয়সী শিশু কন্যার জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার পর তার ওপর হামলা হয়।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এখন পিটুনির শিকার হলে যেন মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয় না, এই ঘটনায় কেউ বিবৃতিতে দেয়নি। আর সংবাদ মাধ্যম হামলাকারীদের পরিচয় হিসেবে লিখেছে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় চাপে পড়া সরকারের পক্ষ থেকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ নিয়ে কথা বলা হয়েছে, কিন্তু মাসুদের বেলায় তাও বলা হয়নি।
হামলা, হত্যার মচ্ছব চলছে, আইন হাতে তুলে নিয়ে এক দম বদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম দস্তগীর গাজীর একটি বিরাট টায়ার কারখানা লুটপাট করে আগুন দিয়ে শেষ করে দেওয়া হয়েছে, কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু না সরকার, না ব্যবসায়ী সমাজ, না মানবাধিকার সংগঠন, না পশ্চিমা রাষ্ট্র- কারও মুখে রা নেই।
অথচ মানবাধিকারের ধোয়া তুলে বছরের পর বছর এরা চিহ্নিত ও স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলে গেছেন, সরকারকে চাপ দিয়ে গেছেন।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাইয়ের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় দুই দিন পর বিবৃতি দেয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
একই দিন টুইট করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। প্রতিক্রিয়া জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও।
কিন্তু এখন নিরপেক্ষ তদন্ত, আন্তর্জাতিক মানের বিচার, সহিংসতা থেকে দূরে থাকা, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ইউনূস সরকারের প্রতি কেউ উপদেশ দিচ্ছে না, বরং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখেও হাত গুটিয়ে থাকা একটি সরকারের পক্ষেই কথা বলছে তারা।