বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। জনগণ এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, রাখবে। এই সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর কিছু আলামত আমাদের সামনে ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, রাখবে। এই সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর কিছু আলামত আমাদের সামনে ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিতে রাজি, তবু স্বৈরশাসন মেনে নেয় না। এই এনায়েতপুরই তার অনন্য উদাহরণ।
তারেক রহমান বলেন, ‘বেলকুচি ও এনায়েতপুর হলো তাঁতশিল্পের এলাকা। তাঁতশিল্পকে কীভাবে উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা যায়, তার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে চাই। যমুনা নদীবিধৌত চৌহালীর বিস্তীর্ণ চর এলাকায় পর্যাপ্ত বাদাম ও তিল চাষ হয়। আমরা এসব সম্ভাবনাময় কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে চাই।’
এনায়েতপুর, চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলায় বিএনপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করা হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মুহিত। এই অনুষ্ঠানটি আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য ও প্রেরণা সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যায়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুর জব্বার, সাধারণ সম্পাদক মির্জা মুরাদুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্যসচিব মনজুরুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টু সরকার, এবং যুগ্ম আহ্বায়ক বিজয় আহমেদসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।
previous post