ইরান সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গত শুক্রবার ব্যাপক হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফরাসি সংবাদপত্র লে প্যারিসিয়েন-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
লে প্যারিসিয়েনর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসরুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা আগে তার অবস্থানের তথ্য ইসরায়েলকে জানিয়েছে ইরানের এক গুপ্তচর।
লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে ওই গুপ্তচর জানিয়েছিলেন, সংগঠনের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সদস্যের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিতে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর ভূগর্ভস্থ সদর দফতরে থাকবেন নাসরুল্লাহ।
এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, হিজবুল্লাহরপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর অবস্থান কয়েক মাস ধরেই জানতো ইসরায়েল। নিউ ইয়র্ক টাইমস ইসরায়েলের তিনজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায়।
এদিকে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ইসরাইলি বিমান বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন। এই হামলা একটি সুক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে করা হয়েছে এবং এতে বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল। হামলাটি এমন সময়ে হয়েছে যখন নাসরুল্লাহ এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর অন্যান্য নেতারা লেবাননের বৈরুতে একটি বাঙ্কারে জড়ো হয়েছিলেন।
প্রতিবেদন মতে, দক্ষিণ বৈরুতের একটি ব্যস্ত এলাকা থেকে বাঙ্কারটি ৬০ ফুটেরও বেশি নীচে ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নেতারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে সেই বাঙ্কারে জড়ো হয়েছিলেন।
হিজবুল্লাহপ্রধানকে হত্যার লক্ষ্যে ইসরাইল সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামলাটি চালিয়েছে বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে। এছাড়া মাটির নীচে ৬০ ফুটেরও বেশি ভারী সুরক্ষিত অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে ইসরাইল প্রায় ৮০ টন বোমা ব্যবহার করেছে।
previous post