হারিকেন হেলিনের আঘাতে অ্যামেরিকা জুড়ে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন । ৪ ক্যাটাগরির এই ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরিডা ও জর্জিয়া স্টেইটে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রায় ২০ লাখের বেশি ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন ছিল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে আঘাত হানে হারিকেন হেলেন। এতে উপকূলীয় এলাকায় বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। ফ্লোরিডা উপকূলের টাম্পা, ন্যাপলস ও সেন্ট পিটার্সবার্গ এলাকা থেকে পাওয়া স্থিরচিত্রে দেখা গেছে, বহু নৌযান উল্টে আছে, গাছ উপড়ে পড়েছে, পানিতে আটকা যানবাহন আর রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
ঝড়ের তোড়ে গাড়িতে ধ্বংসাবশেষ পড়ে এক চালকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। তিনি বলেন, সকাল হলে হয়তো আরও মৃত্যুর খবর পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কোম্পানিগুলো বলেছে, ফ্লোরিডায় ১২ লাখের বেশি গ্রাহক আর জর্জিয়ায় ৮ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) মতে, নথি রাখা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে হারিকেন হেলেন যৌথভাবে ১৪তম। আর ফ্লোরিডায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সপ্তম।
ফ্লোরিডায় আঘাত হানার সময় হেলেনের বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। পরে জর্জিয়ার ওপর দিয়ে উত্তরে অগ্রসর হওয়ার সময় হারিকেনটি দুর্বল হয়ে পড়ে।
![](https://www.nybanglalife.com/wp-content/uploads/2024/09/66f5f027caff8.image_.jpg)
previous post
next post