প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেছেন, অ্যামেরিকায় অভিবাসনসংক্রান্ত বিধি কঠোর করা এবং সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানিল মাদকের প্রবেশ ঠেকানো তাঁর প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয়।
অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শনের পর এ কথা বলেন তিনি। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর এটি ওই এলাকায় কামালার প্রথম সফর।
অ্যারিজোনা স্টেইটের সীমান্তবর্তী শহর ডগলাসে বক্তব্য দেন কামালা। ডগলাসে বাসিন্দার সংখ্যা ১৭ হাজারের কম। বক্তব্যে কামালা অভিযোগ করেন, নাগরিকদের জীবনে অভিবাসীদের প্রভাব নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আতঙ্ক আর বিভাজনের উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।
কামালা হ্যারিস বলেন, ‘প্রবেশ বন্দরগুলোর মধ্যবর্তী সীমান্ত বন্ধ রাখতে আমি আরও পদক্ষেপ নেব।’ যাঁরা বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবে, তাঁদের ধরা হবে এবং তাঁরা যেন পরবর্তী পাঁচ বছর আর অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতে না পারে, তা–ও নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন কামালা।
সরকারি তথ্য অনুসারে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদকালে অবৈধভাবে অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে প্রায় ৭০ লাখ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা রেকর্ড পর্যায়ের বেশি। এ নিয়ে ট্রাম্প সমালোচনা করে থাকেন। তবে বাইডেন চলতি বছরের শুরুর দিকে অভিবাসনবিরোধী নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে পড়ার ঘটনা অনেক কমেছে।
হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ বলেছে, ডগলাসে শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা–সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কামালা হ্যারিস। বারাক ওবামা প্রশাসনের সময়ে ২০১১ সাল এবং ২০১২ সালের মধ্যে সীমান্তে নির্মিত একটি নিরাপত্তাবেষ্টনীর কিছু অংশ ঘুরে দেখেছেন কামালা।
ডগলাসে কামালার সঙ্গে থেরেসা গুয়েরো নামের এক নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। থেরেসা গুয়েরোর ৩১ বছর বয়সী ছেলে জ্যাকব গুয়েরো ফেন্টানিল মাদকের বিষক্রিয়ায় মারা যান।
কামালা বলেছেন, অবৈধ ফেন্টানিলের প্রবেশ ঠেকাতে তিনি ফেন্টানিলের ‘গোটা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল’কে লক্ষ্যবস্তু করবেন।
এদিকে নিয়মবহির্ভূত অভিবাসনের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার জন্য গতকাল কামালা হ্যারিসকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প। ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘এই ধ্বংসের স্থপতি কামালা হ্যারিস। কীভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চান, সে সম্পর্কে তিনি কথা বলেই যাচ্ছেন। আমরা কেবল জানতে চাই, কেন তিনি চার বছর আগে কাজটি করেননি? এটা একটা খুব সাধারণ প্রশ্ন।’
কামালা অ্যামেরিকার ছোট শহরগুলোকে শরণার্থী শিবিরে পরিণত করবেন বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প।
গত মাসে রয়টার্স/ইপসোসের করা এক জরিপে দেখা গেছে, অভিবাসন বিষয়ে ৪৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। আর কামালাকে সমর্থন দিয়েছেন ৩৩ শতাংশ ভোটার। বাকি ২৪ শতাংশের মধ্যে কেউ কেউ বুঝতে পারছেন না কাকে সমর্থন দেবেন, কেউ কেউ উত্তর দিতে রাজি হননি আবার কেউ অন্য কাউকে সমর্থন দিয়েছেন।
previous post