একের পর এক কঠিন আইনে আফগানিস্তানে নারীদেরকে গৃহবন্দি করে ফেলছে তালেবান শাসক। এবার নারীদেরকে বাড়ির বাইরে উচ্চস্বরে কথা না বলতে বারণ করেছে শাসকগোষ্ঠী। এ বিষয়ে আইন করা হয়েছে।
তালেবান প্রণীত আইনটির নাম নীতি–নৈতিকতাবিষয়ক আইন। কঠিন এই আইনের অধীনে আফগানিস্তানে মুসলমানদেরকে অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বারণ করা হয়েছে। কথিত নীতি পুলিশের সদস্যদের আইনটি কার্যকরে মাঠে নামতে দেখা গেছে।
অ্যামেরিকা নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার মধ্য দিয়ে তিন বছর আগে রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটে তালেবানের। সেই থেকে ইসলামবিরোধী আখ্যায়িত করে আফগানদের বিশেষত নারীদের জীবনাচরণ নিয়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ দিয়েছে তালেবান।
এবার আইনের মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন ঘটল। এই আইন ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক সমালোচনা জন্ম দিয়েছে। নারীদের ওপর বিধিনিষেধ সহজ করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি তালেবান সরকার দিয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
আইনের ৩৫ নম্বর ধারা নিয়ে বেশি সমালোচনা তৈরি হয়। ওই ধারায় বলা আছে, নারীরা বাড়ির বাইরে উচ্চ স্বরে কথা বলতে পারবেন না। এমনকি তাঁরা উচ্চ স্বরে গান গাইতে বা কবিতা আবৃত্তি করতে পারবেন না। অনাত্মীয় কোনো ছেলে-মেয়ে কেউ কারও দিকে তাকাতে পারবেন না। পুরুষ ছাড়াও অমুসলিম নারীদের সামনেও আফগান নারীদের বোরকা পরে যেতে হবে।
পুরুষদের মুষ্টির চেয়ে দাড়ি লম্বা রাখা ও ঢিলেঢালা কাপড় পরিধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ কখনো দেখানো যাবে না। স্ত্রীর সঙ্গেও পায়ুপথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবেন না পুরুষেরা। নতুন আইনে সংবাদমাধ্যমের জন্যও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে ইসলাম নিয়ে উপহাস বা অবমাননাকর কোনো কিছু প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না। পরিবহন কোম্পানিগুলোকে নামাজের সময় অনুযায়ী তাদের যাত্রার সময়সূচি পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। মুসলমানদের কোনো অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করতে বা কোনো ধরনের সাহায্য না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অ্যামেরিকা নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার মধ্য দিয়ে তিন বছর আগে রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটে তালেবানের। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলামবিরোধী আখ্যায়িত করে আফগানদের বিশেষত নারীদের জীবনাচরণ নিয়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ দিয়েছে তালেবান। এবার আইনের মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন ঘটল।
এই আইন ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক সমালোচনা জন্ম দিয়েছে। নারীদের ওপর বিধিনিষেধ সহজ করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি তালেবান সরকার দিয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
নতুন আইনের ৩৫ নম্বর ধারা নিয়ে বেশি সমালোচনা তৈরি হয়। ওই ধারায় বলা আছে, নারীরা বাড়ির বাইরে উচ্চ স্বরে কথা বলতে পারবেন না। এমনকি তাঁরা উচ্চ স্বরে গান গাইতে বা কবিতা আবৃত্তি করতে পারবেন না। অনাত্মীয় কোনো ছেলে-মেয়ে কেউ কারও দিকে তাকাতে পারবেন না। পুরুষ ছাড়াও অমুসলিম নারীদের সামনেও আফগান নারীদের বোরকা পরে যেতে হবে।
পুরুষদের মুষ্টির চেয়ে দাড়ি লম্বা রাখা ও ঢিলেঢালা কাপড় পরিধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ কখনো দেখানো যাবে না। স্ত্রীর সঙ্গেও পায়ুপথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবেন না পুরুষেরা।
নতুন আইনে সংবাদমাধ্যমের জন্যও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে ইসলাম নিয়ে উপহাস বা অবমাননাকর কোনো কিছু প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না। পরিবহন কোম্পানিগুলোকে নামাজের সময় অনুযায়ী তাদের যাত্রার সময়সূচি পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে।
মুসলমানদের কোনো অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করতে বা কোনো ধরনের সাহায্য না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি কিছু ঐতিহ্যবাহী খেলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে জীবন্ত জিনিসের ছবি তোলা বা দেখা যাবে না। মা–বাবার কথার অবাধ্য হওয়াকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।
তালেবান সরকার ঘোষিত আইনটি ব্যাপক অস্বচ্ছ। এতে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি। এতে বলা হয়, নারীরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবেন না। তবে কোন পরিস্থিতিকে জরুরি হিসেবে গণ্য করা হবে, সে বিষয়ে বলা নেই।
অমুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহায়তা নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। তার মানে এর মধ্য দিয়ে আফগানদের আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। এটি এমনও হতে পারে যে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক থেকে তালেবান সরকার নিজেদের সরিয়ে নিয়ে তাদের একঘরে স্ট্যাটাসকে আরও শক্তিশালী করেছে। ফোন ও টেলিভিশনে গণমাধ্যম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা–ও স্পষ্ট করা হয়নি।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো নতুন আইনটি সবার জন্য কতটা সমান ও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে তা–ই। জুলাই মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এই নতুন আইন হওয়ার আগেই দেশটির নৈতিকতাবিষয়ক পদক্ষেপ এবং এর প্রয়োগ নিয়ে অস্পষ্টতা ও অসংগতি ছিল।
previous post
