বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেকোনো সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এর আগে, নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের স্বাগত জানাতে জাতিসংঘের মহাসচিব আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর প্রতিনিধি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিংহ রূপুন, এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক বার্তায় ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস বলেন, “এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ভাষণ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী এমন এক চ্যাঞ্জেলের মুখে রয়েছি যা আগে কখনো দেখিনি। বৈশ্বিকভাবেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যুদ্ধ বেড়েই চলছে এবং তা শেষ হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা এমন এক সময় জড়ো হচ্ছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া রয়েছে গাজা যুদ্ধ এবং ইউক্রেন ও সুদানে সংঘাত। আশা করা হচ্ছে এ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধে তাদের কণ্ঠ জোরালো করবেন।
previous post
next post