আগামী ৫ নভেম্বর অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর দল গর্ভপাত নিয়ে ‘ভণ্ডামি’ করছেন বলে অভিযোগ কামালা হ্যারিসের। জর্জিয়ার আটলান্টায় নির্বাচনী সমাবেশ করেন কামালা। সমাবেশটিতে মূলত নারী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
জর্জিয়ায় সম্প্রতি গর্ভধারণ–সংক্রান্ত জটিলতায় দুজন নারীর মৃত্যু হয়। তাঁদের মৃত্যুর জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করেন কামালা। অ্যামেরিকার যেসব স্টেইটে গর্ভপাত নিষিদ্ধ, জর্জিয়া তার একটি।
সমাবেশে কামালা বলেন, ‘…এই ভণ্ডরা এমনভাবে কথা বলতে চান যে এটার মধ্যে নারী ও শিশুদের সেবার সর্বোত্তম স্বার্থ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভালো কথা, যখন আমেরিকার নারী ও শিশুদের সেবা–যত্ন নিয়ে কথা বলার সময় আসে, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন, কোথায় ছিলেন আপনারা? কত বড় সাহস তাদের।’
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই কামালা গর্ভপাত প্রসঙ্গটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বারবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘ট্রাম্প গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা’।
অ্যামেরিকার অন্তত ২০টি স্টেইটে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। জর্জিয়ায় গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জর্জিয়া থেকে দোদুল্যমান রাজ্য উইসকনসিনে যান কামালা। সেখানে তিনি গর্ভপাত নিষিদ্ধ আইনকে ‘অমানবিক’ বলে বর্ণনা করেন।
আটলান্টায় কামালা বলেন, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করব যে আম্বারের নাম শুধু একটি সংখ্যা হিসেবে স্মরণে রাখা হবে না।’
কামালা যখন সমাবেশে কথা বলছিলেন, তখন ভার্জিনিয়া, মিনেসোটা এবং সাউথ ডাকোটায় আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে।
ম্যাডিসনে কামালা বলেন, ‘নির্বাচন আসলে এখানে আমাদের কাজ করতে হবে, উজ্জীবিত করতে হবে, সংগঠিত হতে হবে এবং একজোট হতে হবে।’
ভোটের নির্ধারিত দিনের আগে এই আগাম ভোট এবং ডাকযোগে পাঠানো ভোট নিয়ে এর আগে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২০ সালে বাইডেনের বিরুদ্ধে নিজের জয়ের যে মিথ্যা দাবি ট্রাম্প করেছিলেন সে দাবির মূলেও ছিল এই আগাম ও ডাকযোগের ভোট।