কামালা হ্যারিস নির্বাচনের প্রেক্ষাপটকে গুরুত্ব দিয়ে নারীদের মৌলিক অধিকার এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন দেশের মানুষের ‘ভবিষ্যত ও স্বাধীনতা’র লড়াই বলে।
গর্ভপাতের অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যু, এবং এটি নারীদের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে জড়িত। জর্জিয়ার অ্যাটলান্টায় অনুষ্ঠিত এক প্রচারসভায় কামালা দাবি করেন, ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে নারীরা তাদের গর্ভপাতের মৌলিক অধিকার হারাবে।
কামালা হ্যারিস বলেন, ট্রাম্পের এই কালো আইনের ফলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভবর্তী নারীদের গর্ভপাতের অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
ডেমোক্র্যাটিক এই প্রার্থী নির্বাচনকে সামনে রেখে নারীর এই মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
কামালা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের কট্টরপন্থি নীতিগুলোর নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে ভোটারদের সচেতন করার চেষ্টা করছেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এসব নীতি সাধারণ মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
তাঁর এই প্রচারণা শুধুমাত্র ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয়, বরং নির্বাচনের মাধ্যমে একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিবর্তনের সম্ভাবনা তুলে ধরারও চেষ্টা। ভোটারদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ ও অধিকার সংরক্ষণের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
নারীর গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে, নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেইট জর্জিয়ার অ্যাটলান্টায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কথা বলেন । তার দাবি, ট্রাম্পের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার অযৌক্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, নারী তার মৌলিক অধিকার হারাবে। এ কারণে এবারের নির্বাচনকে ‘ভবিষ্যত এবং স্বাধীনতার’ লড়াই বলে অভিহিত করেন কামালা হ্যারিস।
কামালা হ্যারিসের অভিযোগ, ২০টির বেশি স্টেইটে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে ট্রাম্পের কারণেই এবং চিকিৎসকদেরকে এই কাজে সহায়তা করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে নারীর মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা দুটিই কেড়ে নেয়া হয়েছে।
“কালো আইন” হিসেবে ট্রাম্পের গর্ভপাত নিষিদ্ধের আইনকে উল্লেখ করে কামালা হ্যারিস বলেন, দু:খজনক হলেও সত্যি যে, তার এই পরিসংখ্যান—যেখানে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন নারী এই আইনের আওতায় পড়ছে—এটি বোঝাতে চাচ্ছে যে, এই আইনটি কতটা ব্যাপকভাবে নারীদের অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেয়াকে স্বাস্থ্যখাতের বড় সংকট উল্লেখ করে কামালা হ্যারিস বলেন, এই সংকটের স্থপতি ডনাল্ড ট্রাম্প।
এমন পরিস্থিতি চলতে দেয়া যায় না মন্তব্য করে, নির্বাচনের এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কামালা হ্যারিস নারীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন। তিনি স্পষ্ট করে জানান, তিনি নারীদের অধিকার এবং স্বাস্থ্য সেবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

previous post