৮ আগস্ট সরকারে আশার পর থেকে ইউনূস সরকার যেসব কথা বলে আসছে, বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। মানুষের জীবন কঠিন হচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতায় ব্যবসা-বাণিজ্যের অচলাবস্থা। কিন্তু সরকার ব্যস্ত কথামালা নিয়ে।
এনওয়াই বাংলা স্পেশাল
পুরান ঢাকায় একটি প্রবাদ আছে ‘ঢাকাইয়া বাইল, দেহায় মুরগি খাওয়ায় ডাইল’। দেড় মাস দায়িত্বে থাকা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড ভালোভাবে খেয়াল করলে এই প্রবাদটি মনে পড়ে যাবে।
সরকার যা যা বলেছিল, ঘটছে তার উল্টোটা, নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সেখানেও অটল থাকতে পারছে না, এমন ঘটনা ঘটেছে নিয়মিত।
সরকার পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকে ইউনূস নিজে যেসব কথা বলেছেন, যেসব অঙ্গীকার করেছেন, সেগুলোর অনেকগুলোই যে স্রেফ ‘কথার কথা’ তা দিনকে দিন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
‘কেউ কারও ওপর হামলা করবে না’
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতে বাংলাদেশে আসার পর ৮ আগস্ট ঢাকায় বিমানবন্দরে ইউনূস সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আপনারা যদি আমার ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখেন, তাহলে নিশ্চিত থাকেন, দেশের কোনো জায়গায় কারও ওপর হামলা হবে না। এটা আমাদের প্রথম দায়িত্ব। এখন যে সরকার হবে, সে সরকার মানুষকে রক্ষা করবে।’
কিন্তু দেশে এখন হামলা, পিটুনি বা পিটিয়ে হত্যার যেসব ঘটনা ঘটছে, তা নজিরবিহীন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষরাও লাঞ্ছিত হয়েছেন হাজারে হাজার। সরকার চোখই দেয়নি সেদিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যার পর তাও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে, তাদের বদলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাত্রলীগেরই এক নেতাকে।
রাজশাহীতে ১০ বছর আগে শিবিরের হামলায় পা হারানো এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তার পরিবার যে মামলা করেছে, তাতে কারও নাম উল্লেখ করা যায়নি। এই হামলা যে ইসলামী ছাত্রশিবির করেছে, সেটি স্পষ্ট, কিন্তু পত্রিকায় এসেছে ‘একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের’ কথা।
ঢাকার পাশে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিশাল দুটি কারখানা লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে পুড়ে পড়েছে দুইশ বা তিনশ বা চারশ মানুষ। কিন্তু সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।
চট্টগ্রামে গান গাইতে গাইতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তরুণকে। এক মাসেরও বেশি সময় পর পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর কিছুটা তৎপর হয়েছে পুলিশ। এমন উদাহরণ দিতে গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখা হয়ে যাবে।
সংখ্যালঘু কমিশন হয়নি
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পর আগেও হিন্দুদের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ হয়েছে, এবারও বাদ যায়নি। ইউনূস সরকার শুরু থেকেই এটি অস্বীকার করে আসছে।
এরমধ্যে ১৩ আগস্ট ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে ইউনূস হিন্দুদেরকেই পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যত কিছুই বলেন, একটা খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারা মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদেরকে আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি- এক মানুষ, এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। করতে পারলাম কি পারলাম না, সেটা পরে বিচার করেন, যদি না পারি আমাদেরকে দোষ দিয়েন।’
এরপর ১৯ আগস্ট ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে ‘সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন, তারা সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, দাবির প্রেক্ষিতে অধ্যাপক ইউনূস তাদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “তার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সদস্যসহ প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তবে এরপর পাঁচ সপ্তাহেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ ঠেকাতে সরকার কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেয়নি, কথিত সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করা হলেও ‘সংখ্যালঘু কমিশন’ করেননি ইউনূস।
সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকে শুরু থেকেই অতিপ্রচার বলে আসলেও গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো প্রকাশ করে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠাতে ১ হাজার ৬৮টি আক্রমণ হয়েছে।
এর মধ্যে রংপুরে একটি স্কুলে হিন্দু মেয়েদেরকে জোর কোরআন শরিফ পড়াতে বাধ্য করার অভিযোগ এসেছে। ঢাকার উত্তরায় ১৩ নম্বর সেক্টরে দুর্গা পূজা করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে মিছিল হয়েছে। কিন্তু সরকার নীরব।
বন্যার্তদের জন্য আর কবে সহায়তা
ইউনূস সরকারের জন্য বড় ধাক্কা উত্তর পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় বন্যা। এই বন্যা হানা দেওয়ার তিন দিনের মাথায় প্রথম উপদেষ্টাদের নিয়ে বসেন ইউনূস।
এরপর ২৪ আগস্ট ৪৪টি এনজিওকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয় বলে পত্রপত্রিকায় আসে।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল খোলা হয়, সেখানে টাকা জমা দিতে একটি আবেদন ঝুলে আছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন সেখানে টাকা জমা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি পাঠাচ্ছে। তবে অঙ্কটি কত দাঁড়িয়েছে, সেটি বলা হয়নি।
সরকারি হিসাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৩ লাখের বেশি। তাদের জন্য গত ২ সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী বরাদ্দ হয় সাড়ে চার কোটি নগদ টাকা। ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ৩৫ লাখ টাকার গো খাদ্য।
এই হিসাবে মাথাপিছু চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ কেজির কম, মাথাপিছু টাকা সাড়ে আট টাকার কম।
এখন বলা হচ্ছে পানি নেমে গেলে পুনর্বাসনের কথা। সরকারের হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ সোয়া ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, কিন্তু লক্ষ্যই ঠিক করা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা তহবিলের।
পানি নেমে গেছে, কিন্তু পুনর্বাসনের কোনো পরিকল্পনা এখনও ঘোষণা করা হয়নি, কোনো তৎপরতার খবরও আসেনি সংবাদ মাধ্যমে।
নির্ভয়ে সমালোচনা করার আহ্বান, কিন্তু এ কী হল
গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসে ইউনূস দাবি করেন, তার সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি সেদিন বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম ও মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি, আপনারা মন খুলে আমাদের সমালোচনা করেন। আমরা সবার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর তার সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাফ বুঝিয়ে দেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে যায়, এমন কোনো লেখা সরকার সহ্য করবে না।
সেদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বা স্বাধীনতার মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের প্রচার করা যাবে কি না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে ফ্যাসিস্টদের পারপাস সার্ভ (উদ্দেশ্য সাধন) করা যাবে কি না। সেই বিষয়টি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।’
একই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, প্রধান উপদেষ্টা, তথ্য উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে ‘অশালীন মন্তব্যের’ অভিযোগে চট্টগ্রামে একটি নালিশি মামলা হয়।
মামলার বাদী মো. সাইফুদ্দিন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি আসামি করেছেন মোকতার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে।
আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন
সংস্কার দাবি করা পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর পুলিশের যে সদস্যরা বাহিনীতে সংস্কারের কথা বলেছিলেন, তারা বর্তমান সরকারের সুরেই কথা বলেছিলেন। সরকারও সংস্কারের অঙ্গীকার করেছিল।
কিন্তু পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক বলয় মুক্ত ও সংস্কারে আন্দোলনের ডাক দেওয়া রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান শোয়াইবকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপির শাহজাহানপুর থানায় সাইবার ক্রাইম আইনে হওয়া মামলায় শোয়াইব ও নায়েক সজিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনেই তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
অথচ ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সকল কালো আইনের তালিকা করা হয়েছে। অতি সত্বর এ সকল কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে।’
হবে না ঘোষণা দিয়েও ডলার বিক্রি
ইউনূস সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে বেছে নিয়েছেন আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুরকে। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আর ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছেন একাধিকবার।
২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর গোলটেবিল বৈঠকে গিয়েও তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করলে ছয় মাস পর শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হয়ে যাবে। এটা কোনো সমাধান হতে পারে না।’
অথচ তার আগের দিন আজকের পত্রিকার প্রতিবেদন বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনও ডলার বিক্রি করছে।
সেটি সরকার পতনের মাস আগস্টে যেমন হয়েছে, তেমনি চলতি সেপ্টেম্বরেও হয়েছে। এতে সাম্প্রতিক সময় রেমিট্যান্সের গতি বাড়ার পরও মোট রিজার্ভ কমে এসেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বরের জন্য বেঁধে দেওয়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
যদিও গত আগস্ট মাসেও ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল প্রায় সোয়া ১৫ বিলিয়ন ডলার।
আগস্টে সেখান থেকে ১৭০ মিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত বিক্রি করা হয় প্রায় ১০৬ মিলিয়ন ডলার।
গভর্নরের আরও ঘোষণা ছিল বিপাকে পড়া ১০টি ব্যাংককে কোনো তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে না। ২০ আগস্ট তিনি বলেন, ‘শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে বেআইনিভাবে তারল্য সহায়তা দিয়ে সমস্যা সমাধান করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। আর আমানতকারী কোন ব্যাংকে আমানত রাখবে সেটা আমানতকারীর সিদ্ধান্ত। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু করার নেই।’
তবে এখন সেখান থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রি পাল্টে গিয়ে বিশেষ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। শক্তিশালী ব্যাংকগুলো দুর্বলদের অর্থ ধার দেবে- এমন চুক্তিও হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্ততায়।
ইলিশ রপ্তানি
ইউনূস সরকার সবচেয়ে বেশি বিতর্কের মধ্যে পড়েছে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে।
গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সচিবালয়ে বলেন, ‘দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না।’
স্বল্প আয়ের মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়া ইলিশ মাছের দাম নাগালের মধ্যে নিয়ে আসারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উপদেষ্টা।
কিন্তু পরে দেখা গেল, ইলিশের দাম আরও লাফ দিয়েছে।
এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের নিউজ-১৮কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরিদা বলেন, ‘আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) করবে। আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ।
তিনি সেদিন আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ, সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে, সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়।’
তবে ২১ সেপ্টেম্বর তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা ইলিশ উপহার পাঠাচ্ছি না, রপ্তানি করছি।’
সফরসঙ্গী ৭ জন না ৫৭ জন
জাতিসংঘ সফরে ইউনূস ৭ জন সফরসঙ্গী নিয়ে যাবেন, এমন একটি আদেশ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন বহু মানুষ। তবে শেষমেশ দেখা যায়, তিনি ৫৭ জন সফরসঙ্গী নিয়ে অ্যামেরিকায় গেছেন।